ক্লাব বিশ্বকাপে সহজ গ্রুপে পড়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। গ্রুপে ইউরোপিয়ান পরাশক্তি নেই, নেই দক্ষিণ আমেরিকান পরাশক্তি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের কোনো ক্লাব। হাসতে হাসতে পরের রাউন্ডে চলে যাবে স্প্যানিশ দলটি-এমন চিন্তায় তাই ভুল ছিল না।
কিন্তু প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেয়েছে মাদ্রিদ। সৌদি ক্লাব আল-হিলালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে শুরু করেছে ক্লাব বিশ্বকাপ।
কার্লো আনচেলত্তির পর মাদ্রিদের দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরই শিষ্য শাবি আলোনসো। সাবেক মাদ্রিদ মিডফিল্ডারের অধীনে নতুন ঘরানার ফুটবল দেখার অপেক্ষায় ছিল মাদ্রিদ সমর্থকেরা। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের অনুশীলনেই যে খেলার ধাঁচ বদলে নেওয়া সম্ভব না গতকাল তা স্পষ্ট হয়েছে।
ম্যাচের আগেই ধাক্কা খেয়েছিল মাদ্রিদ। অনুশীলনে চোট পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর বদলে একাডেমির গন্সালো গার্সিয়া নেমেছিলেন। মাদ্রিদের গোলটি এসেছে তাঁর পায়েই, বক্স উপস্থিতিও দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও ফেদে ভালভার্দের অনুজ্জ্বল দিনে এমবাপ্পের অভাব পূরণ করা সম্ভব হয়নি গার্সিয়ার পক্ষে।
এই মৌসুমে রক্ষণে ডিন হাউসেন ও ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আরনল্ডকে কিনে এনেছে মাদ্রিদ। কিন্তু তবু রক্ষণ দুর্বলতা কাটেনি। ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া মাদ্রিদ গোল খেয়ে বসেছে ৭ মিনিট পরই। রাউল আসেনসিওর অযথা ফাউলে পেনাল্টি পেয়ে যায় নেইমারের সাবেক ক্লাব। রুবেন নেভেস দলকে সমতা ফেরাতে ভুল করেননি কোনো।
তবু ম্যাচটি জিতে মাঠ ছাড়তে পারত মাদ্রিদ। কিন্তু যোগ করা সময়ের পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ভালভার্দে। ম্যাচ শেষে আলোনসো স্বীকার করেছে, তাঁর ফিলোসফিতে মানিয়ে নিতে সময় নেবে মাদ্রিদ, ‘আমরা জানি এসব জিনিসে সময় লাগে, কিছু সূক্ষ্ম বিষয় ঠিক করতে হবে। সবকিছুর জন্যই সময় লাগে। মাত্র নয়দিন হলো আমি এখানে কাজ করছি।’
রক্ষণে মিলিতাও, রুডিগার দীর্ঘমেয়াদি চোটে আছেন। আলাবা, কারভাহাল এখনো মাঠে নামার জন্য উপযুক্ত নন। ওদিকে এমবাপ্পের বদলে নামতে পারতেন যিনি, সেই এন্দরিকও দুই মাসের জন্য মাঠের বাইরে। একাডেমির গার্সিয়াকে নামাতে তাই বাধ্য হন আলোনসো। একটি গোল করলেও তাঁর শট নেওয়ার দুর্বলতা স্পষ্ট বোঝা গেছে। সঠিক সময়ে শট নিতে না পারা, কখনো শটে দুর্বলতার কারণে বেশ কয়েকটি গোল পায়নি মাদ্রিদ।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে সালজবুর্গ ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে পাচুকাকে। আগামী রোববার মেক্সিকান ক্লাবের বিপক্ষে নামবে মাদ্রিদ। সে ম্যাচেও এমবাপ্পেকে না পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে নিজের ফিলোসফি যত দ্রুত সম্ভব দলের ফুটবলারদের আত্মস্থ করাতেই হবে নতুন কোচকে।