মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড) গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফৌজিয়া করিম ফিরোজ। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার তুলে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, বেলারুশ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মিয়ানমার, কিউবা, ইকুয়েডর, গাম্বিয়া, ইরান, জাপান, মরক্কো, নিকারাগুয়া ও উগান্ডার ১১ জন নারীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা, ন্যায়, নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের পক্ষে অসাধারণ সাহস, শক্তি ও নেতৃত্ব প্রদর্শনকারী নারীদের ২০০৭ সাল থেকে এই পুরস্কার দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ বছর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের আদায়ে লড়াই করার জন্য ফৌজিয়া করিমকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে অ্যান্টনি ব্লিনকেন লিখেছেন, ‘এ বছরের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার পাওয়া নারীরা সত্যিই অসাধারণ। তাঁরা শান্তি ও মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এবং অসীম সাহসিকতার সঙ্গে দুর্নীতি প্রকাশ করেছেন। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমি গর্বিত।’
ফৌজিয়া করিম সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য লড়াই করছেন। তিনি বর্তমানে তাঁর নিজস্ব ল চেম্বারের প্রধান এবং ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এফএলএডি) চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি বিষয়ে একটি রায়ে জিতেছিল এফএলএডি।
ফৌজিয়া ফিরোজ ব্যক্তিগতভাবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের পক্ষে তাঁদের নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার মামলা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ফেডারেশন (বিআইজিইউএফ) এবং গৃহকর্মী নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছেন।
ফৌজিয়া করিম ফিরোজ এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এসিড সারভাইভরস ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি। ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যৌন হয়রানির মামলা পর্যালোচনা এবং আদালতে সুপারিশ করার জন্য তাদের পাঁচ সদস্যের কমিটিতে ফওজিয়া ফিরোজকে নির্বাচিত করেছে।