কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানাধীন শিলাইদহ ইউনিয়নে মাংস চুরির অভিযোগে এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে দেওয়া এবং বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ এবং ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ যথাযথ শাস্তির দাবি জানায় মহিলা পরিষদ।
১১ জুন মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন এলাকায় মাংস চুরির অভিযোগে এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন রাতে ভুক্তভোগীর নারীর বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করেন এবং তাকে আবার প্রতিবেশীর বাড়িতে তুলে নিয়ে যান। এ সময় তাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে রাত ১০ টায় স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলমের নেতৃত্বে সালিশ হয় এবং নির্যাতনের শিকার নারীর দুটি গরু, একটি ছাগল ও স্বর্ণালংকার নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে বেআইনি সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নারীকে শাস্তি প্রদান ও জরিমানার ঘটনা নারীর স্বাভাবিক জীবনযাপন ও অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
মহিলা পরিষদ বেআইনি সালিশের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত শাস্তি প্রদান বন্ধ করতে হাইকোর্টের পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানায়। এ ছাড়া নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানও জানায়।