জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আবারও ঢুকতে পারছেন ব্রাজিলের অনেক ব্যবহারকারী। আদালতের আদেশের পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইন বিষয়ক প্রতিনিধি নিয়োগ না করায় দেশটিতে কিছুদিন আগেই এক্স বন্ধ করা হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদন বলছে, ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ক্লাউডফ্লেয়ারের হোস্ট করা সার্ভারে স্থানান্তরিত হওয়ার পর ব্রাজিলের ব্যবহারকারীরা এতে ঢুকতে পারছেন।
এক্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ব্রাজিলে এই প্ল্যাটফর্মের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটি ‘অবৈজ্ঞানিক’। ব্রাজিলে শিগগিরই হয়তো এক্সে ঢোকার পথ আবার বন্ধ হয়ে যাবে। তবে জনগণের জন্য এক্স ফেরাতে সরকারের সাথে কাজ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।
তবে ব্রাজিলের টেলিকম এজেন্সি আনাটেল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেত রাজি হয়নি।
এরআগে গত মাসের শেষদিকে ব্রাজিলে নিষিদ্ধ হয় এক্স। এক্স কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না আদালতের সমস্ত আদেশ মেনে চলে এবং নির্ধারিত জরিমানা প্রদান করে ততক্ষণ এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে তখন জানান আদালত।
আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এক্স মালিক ইলন মাস্ক তখন বলেন, স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্রের ভিত্তি। ব্রাজিলের একজন ছদ্মবেশী বিচারক রাজনৈতিক উদ্দেশে এটিকে ধ্বংস করছেন।
মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স নিয়ে ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইন বিষয়ক প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য সময় দিয়েছিলেন দেশটির আদালত। এই সময় শেষ হয়ে গেলেও প্রতিনিধি পাঠায়নি এক্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে ব্রাজিলে এক্সের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় গত এপ্রিলে। ওই সময় ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে এক্সের বেশকিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেক্সান্দ্রে দে মোরায়েস। কিন্তু তা মানেননি ইলন মাস্ক।
পরে এ ব্যাপারে আইন বিষয়ক প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয় ধনকুবের ইলন মাস্ককে। সময় শেষ হওয়ার পর প্রতিনিধি না পাঠানো নিয়ে মাস্ক জানান, তিনি প্রতিনিধি পাঠাবেন না। এর পরই ব্রাজিলে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম।