পিরামিডের কথা এলেই বেশির ভাগ সময় সামনে আসে মিশরের সভ্যতা। পিরামিডের ইতিহাস তো এই মিশরকে ঘিরেই। কিন্তু এবার মিশর থেকে হাজারো মাইল দূরে জাপানে সমুদ্রের তলদেশে মিলল পিরামিড। ইতিহাস কি তাহলে আবার নতুন করে লিখতে হবে?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, জাপানের ইউকিউ দ্বীপে সমুদ্রের ৮২ ফুট গভীরে মিলেছে এই পিরামিড। আর সেই পিরামিডের উচ্চতা ৯০ ফুট। জানা যায়, এটি প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তবে ওই সময় ধারণা করা যায়নি যে, এটি আসলে পিরামিড।
পাথর দিয়ে বানানো পিরামিডের প্রান্তগুলো বেশ ধারালো। দেখে মনে হতে পারে এটি পুরোনো কোনো মন্দিরের অংশবিশেষ।
এটি ১০ হাজার বছর আগের বলে দাবি করা হচ্ছে। এই দাবি সত্য হলে মিশরের পিরামিড বা ইংল্যান্ডের স্টোনহেঞ্জের অনেক আগেই মানুষ বানিয়েছিল এত বড় স্থাপনা। আর এমন হলে এটিই হতে যাচ্ছে মানুষের বানানো সবচেয়ে পুরোনো স্থাপনা।
এই আবিষ্কার সত্য বলে প্রমাণিত হলে বদলে যেতে পারে এতদিন ধরে জানা ইতিহাস। কেননা ইতিহাসে জাপানে সভ্যতা শুরুর যে সময় উল্লেখ করা আছে, তার ১২ হাজার বছর আগেই এই পিরামিড ছিল সেখানে। সভ্যতা না থাকলে সেখানে পিরামিড এল কী করে?
তবে এই পিরামিড মানুষই বানিয়েছে–নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হতে পারে এই পিরামিড।