কানাডায় জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ৪৫তম জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন কানাডার জনগণ। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ও কানাডাকে আমেরিকার অঙ্গরাজ্য করার ইচ্ছা এই নির্বাচনের মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বার্ত সংস্থা রয়টার্স বলছে, ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকির কারণে কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মার্ক কার্নির প্রতি সমর্থন বেড়ে গেছে। কার্নি রাজনীতিতে নতুন মুখ। তিনি এর আগে কানাডা ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ছিলেন। জাস্টিন ট্রুডোর পর তিনিই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন।
ইপসোস ও অ্যাংগাস রিডের করা আলাদা জরিপে দেখা গেছে, পিয়েরে পলিয়েভরের কনজারভেটিভ দলের তুলনায় কার্নির লিবারেল দল ৪ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল। রোববার ইপসোসের করা এক জরিপে লিবারেল দল ৪২ শতাংশ ও কনজারভেটিভ দল ৩৮ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছে। এর আগে শনিবার অ্যাংগাস রেইডের জরিপে লিবারেলরা ৪৪ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছে। আর কনজারভেটিভ দল সমর্থন করেছেন ৪০ শতাংশ মানুষ।
জরিপের ফল সঠিক হলে টানা চতুর্থবারের মতো লিবারেল পার্টি সরকার গঠন করতে পারে। তবে কার্নি হয়তো ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবেন না। ফলে তাঁকে সরকার গঠনের জন্য ছোট দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হতে পারে।
কানাডার নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি তাঁর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে আমেরিকার ৫১তম প্রিয় অঙ্গরাজ্য হওয়ার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য কানাডিয়ানদের আহ্বান জানান।
ট্রাম্প লেখেন, ‘এমন একজনকে নির্বাচিত করুন, আপনার কর অর্ধেক কমিয়ে আনার জন্য যার ক্ষমতা ও প্রজ্ঞা আছে। আপনার সামরিক শক্তি বিনামূল্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করার ক্ষমতা যার আছে। দক্ষতা আছে আপনার গাড়ি, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, কাঠ, জ্বালানি এবং অন্যান্য সব ব্যবসা চারগুণ করার।’