সেকশন

শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Independent Television
 

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

ক্ষুধায় মারা যেতে পারে ৩০ কোটি মানুষ, মিয়ানমারের কী অবস্থা

  • সুদানের জমজম আইডিপি ক্যাম্পে দুর্ভিক্ষ শনাক্ত
  • গাজা-সুদানে ক্ষুধায় মৃত্যুর আশঙ্কা ৯৫%
  • তালিকায় মিয়ানমার থাকলেও গাজা-সুদানের মতো উদ্বেগ নেই
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

বিশ্বে গত এক বছরে চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এ কারণে খাদ্য সংকটে পড়ে কেবল ক্ষুধায় বিশ্বের ৩০ কোটি মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতিসংঘের প্রকাশিত ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস’ (জিআরএফসি)‑এ এই শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ক্ষুধায় মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি ফিলিস্তিনের গাজা ও সুদানে, ৯৫ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া হাইতি, মালি ও দক্ষিণ সুদানেও সংকট রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সংকটে থাকা মিয়ানমারকে তালিকায় রাখা হলেও দেশটির খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা ও সুদানের মতো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সুদানের জমজম আইডিপি ক্যাম্পে দুর্ভিক্ষ শনাক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই সংকট দারফুর ও পশ্চিম নুবা পর্বতমালার অন্যান্য ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ে। ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির আরও পাঁচটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আরও ১৭টি এলাকা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের পর এই প্রথম কোনো এলাকায় দুর্ভিক্ষ শনাক্ত হলো। 

শুক্রবার প্রকাশিত খাদ্য সংকট সংক্রান্ত ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৫৩টি দেশ ও অঞ্চলের ২৯ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি, যা গবেষণার আওতায় থাকা মোট জনসংখ্যার ২২.৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে ৩৬টি দেশ এবং অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য সংকট রয়েছে। এসব এলাকায় ২০১৬ সাল থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ প্রতি বছর চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এ ছাড়া ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ভয়াবহ স্তরের সম্মুখীন হওয়া মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৪ সালে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল সংঘাত, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, হাইতি, সুদান, দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার এবং ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। প্রথমবারের মতো বার্ষিক প্রতিবেদনে পুষ্টি সম্পর্কিত তথ্যও সরবরাহ করা হয়েছে। এতে অনুমান করা হয়েছে, ২৬টি দেশে ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ৪ কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার।

নতুন প্রতিবেদনের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, ২০২৪ সালে শুধু সংঘাতের কারণে ২০টি দেশে ১৪ কোটির বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছে। সুদান, গাজা, হাইতি ও মালিতে এ পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে সুদানে। দাতা দেশগুলোর তহবিল কমিয়ে দেওয়ায় ২০২৫ সালের পূর্বাভাস ‘উদ্বেগজনক’ বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও মানবিক সাহায্য কমে যাওয়া, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ধাক্কা গত বছর নতুন করে আরও ১ কোটি ৩৭ লাখ মানুষকে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলেছে। তীব্র সংঘাত, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও তহবিল হ্রাস তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাকে আরও গভীর করছে।

এতে বলা হয়, ১৯টি দেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে ক্রমাগত পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। এই পরিস্থিতির কারণ সংঘাত। এসব দেশের তালিকায় মিয়ানমার, নাইজেরিয়া ও কঙ্গো রয়েছে। এ ছাড়া খরার মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে।

এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাপক বন্যা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার সম্মিলিত প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ এশিয়া অঞ্চলের বৃহত্তম খাদ্য সংকটে থাকা এলাকায় পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উচ্চ স্তরের সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে আফগানিস্তানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে। কিন্তু অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যেও তা অত্যন্ত ভঙ্গুর, একই সঙ্গে সংঘাত বেড়েছে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশের ২৯ শতাংশ মানুষ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি। সংখ্যায় এটি প্রায় ৭ কোটি।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে বলা হয়, গত এক বছর এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিল বাংলাদেশ। এশিয়ার চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের মধ্যে ৩৬ শতাংশই বাংলাদেশের। এর পেছনে প্রধান কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতির কথাও উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে যত মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিল, এই সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে বেশি।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়াল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন এ তথ্য জানা যায়।
ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ইসরায়েলি দুই ডানপন্থী মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মার্কিন-সমর্থিত মানবিক গোষ্ঠীর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি গুলিতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ওই স্থানে পৌঁছালে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে সেনারা।
গাজায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার পথে আটক সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ইসরায়েল ছেড়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রধান...
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা। পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশের প্রাণহানির সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ২ জন নিহত হয়েছেন এবং...
চট্টগ্রাম জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির পদে দায়িত্ব পেয়েছেন নজরুল ইসলাম। এর আগে এই পদে ছিলেন সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। তবে শাহজাহান চৌধুরীকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের...
শুধু আফ্রিকা কেন, লর্ডসে যেকোনো দলের জন্যই এ লক্ষ্য কতটা কঠিন, সেটা পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে সহজেই বোঝা যায়। লন্ডনের এ ভেন্যুতে চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ বা এর চেয়ে বেশি রানে তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছেই...
লোডিং...
পঠিতনির্বাচিত

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.