প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০১৮, ০৩:৩০ পিএমআপডেট : ০২ মার্চ ২০১৮, ০৩:৩২ পিএম
আহত এক শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে
মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ঘুটায়। একদিকে, আসাদ বাহিনী ও রুশ বাহিনীর বিমান হামলা, অন্যদিকে, খাবার- পানির তীব্র সংকটে বাড়ছে বেসামরিক নাগরিকের মৃতের সংখ্যা। চারপাশ ধ্বংসস্তুপে নারী শিশুসহ অসংখ্য মানুষের হাহাকার। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাও।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে মাত্র ৬ মাইল দূরের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ঘুটায় গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বিচার বিমান হামলা চালাচ্ছে রুশ সমর্থিত আসাদ বাহিনী। প্রায় ৪ লাখ অবরুদ্ধ বাসিন্দার প্রতিদিন কাটছে মৃত্যু আতঙ্কে। টানা হামলায় এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে পাঁচশর বেশি বেসামরিক নাগরিক, এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা দেড়শতাধিক।
হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বাজার এমনকি মসজিদেও হয়েছে বিমান হামলা। শহর ছেড়ে পালানোর পথ বন্ধ, উদ্ধারকর্মীদের অ্যাম্বুলেন্সও হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। পূর্ব ঘটা থেকে বিদ্রোহীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকারি বাহিনী।
পর্যকেবেক্ষকেরা বলছেন, পূর্ব ঘুটার নিয়ন্ত্রণ নিতে পোড়ামাটি নীতি নিয়েছে আসাদ সরকার। এর আগে ২০১৬ সালে আলেপ্পো দখলের সময়েও একই নীতি অনুসরণ করে সফল হয় সরকারি বাহিনী। এবার পূর্ব ঘুটায় নির্বিচার বোমা ফেলার পাশাপাশি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। অঞ্চলটিতে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে নাগরিক সব সুবিধা। গত কয়েকদিনে তৈরি হয়েছে তীব্র খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট।
পূর্ব ঘুটায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ায় ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। এরপর আন্তর্জাতিক নিন্দা ও চাপের মুখে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা হামলা বন্ধ রাখতে আসাদ বাহিনীকে নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এরপরেও নিয়মিত বোমা হামলা চালাচ্ছে আসাদ বাহিনী। শক্তি প্রয়োগ করে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করাই প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের এখনকার লক্ষ্য বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে আমেরিকায় এক ভারতীয় গবেষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্প্রতি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বদর খান সুরিকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল...
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক হামলা শুরু করার পর খোদ ইসরায়েলেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার...
ইরাক থেকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সব সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রতিশ্রুতি মেনে নেওয়ার জন্য বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে...
মাদক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য চার কানাডিয়ানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চীন। বিষয়টি দু দেশের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ককে আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কক্সবাজারে সাম্প্রদায়িক কোনো নৈরাজ্য, কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী...
‘সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণা’–এই বাক্যটি দিয়ে অনেক সিনেমা‑নাটকই তৈরি হয়। আমাদের দেশে যেমন হয়, বিদেশেও হয় হরহামেশা। ওটিটি’র এই দুনিয়ায় এ ধরনের বিনোদনমূলক ভিডিও কনটেন্ট আরও বেশি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি...
সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় চরমে
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে মাত্র ৬ মাইল দূরের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ঘুটায় গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বিচার বিমান হামলা চালাচ্ছে রুশ সমর্থিত আসাদ বাহিনী। প্রায় ৪ লাখ অবরুদ্ধ বাসিন্দার প্রতিদিন কাটছে মৃত্যু আতঙ্কে। টানা হামলায় এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে পাঁচশর বেশি বেসামরিক নাগরিক, এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা দেড়শতাধিক।
হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বাজার এমনকি মসজিদেও হয়েছে বিমান হামলা। শহর ছেড়ে পালানোর পথ বন্ধ, উদ্ধারকর্মীদের অ্যাম্বুলেন্সও হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। পূর্ব ঘটা থেকে বিদ্রোহীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকারি বাহিনী।
পর্যকেবেক্ষকেরা বলছেন, পূর্ব ঘুটার নিয়ন্ত্রণ নিতে পোড়ামাটি নীতি নিয়েছে আসাদ সরকার। এর আগে ২০১৬ সালে আলেপ্পো দখলের সময়েও একই নীতি অনুসরণ করে সফল হয় সরকারি বাহিনী। এবার পূর্ব ঘুটায় নির্বিচার বোমা ফেলার পাশাপাশি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। অঞ্চলটিতে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে নাগরিক সব সুবিধা। গত কয়েকদিনে তৈরি হয়েছে তীব্র খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট।
পূর্ব ঘুটায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ায় ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। এরপর আন্তর্জাতিক নিন্দা ও চাপের মুখে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা হামলা বন্ধ রাখতে আসাদ বাহিনীকে নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এরপরেও নিয়মিত বোমা হামলা চালাচ্ছে আসাদ বাহিনী। শক্তি প্রয়োগ করে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করাই প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের এখনকার লক্ষ্য বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
/আর-এম/