প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০১৮, ০৯:১৮ এএমআপডেট : ২২ জুলাই ২০১৮, ০৯:২৫ এএম
কম্বোডিয়ায় চীনা বিনিয়োগ
কম্বোডিয়ার আবাসন খাতে দিন দিন বাড়ছে চীনা বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়াতে প্রতিনিয়তই দেশটিতে নির্মিত হচ্ছে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, হোটেল এবং রিসোর্ট। ফলে বিগত কয়েক বছরে কম্বোডিয়ায় শুধু এ খাতেরই সম্প্রসারণ হয়েছে ৬৮ ভাগ। আবাসন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তনের ফলে চীনা বিনিয়োগকারীরদের পাশাপাশি আকৃষ্ট হচ্ছে বহু পর্যটকও।
প্রায় ৫ বছর আগেও রাজধানী নম পেনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছিল সব মিলিয়ে মাত্র ১৫শ। কিন্তু বর্তমানে সে সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ২২ হাজারেরও বেশি বিলাসবহুল আবাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টই নির্মাণ করা হচ্ছে মূলত চীনা ক্রেতাদের লক্ষ্য করে। যার প্রতিটির ভাড়া হবে ১ হাজার ডলার, যেখানে কম্বোডিয়ার মাথাপিছু গড় আয় তেরশো ডলার।
কম্বোডিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক পরিষদ বলছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশটিতে সরাসরি চীনা বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। পাশাপাশি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগও দ্বিগুণ বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে দেশটির আবাসন খাতের।
চীফ অপারেশন অফিসার সেরাজ শাটান বলেন, কম্বোডিয়ায় বিনিয়োগ বেশ লাভজনক। দেশটির আবাসন প্রকল্পগুলোর দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে। গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদেরও ভালো মুনাফা হবে।
বিনিয়োগের পাশাপাশি চীনা পর্যটক আকর্ষণে সক্ষম কম্বোডিয়া। সরকারী হিসেবে, ২০১৭ সালে ১২ লাখেরও বেশি পর্যটক সফর করেছে দেশটিতে। যা এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৬ ভাগ বেশি। আর তাদের কেন্দ্র করেই বাড়ছে হোটেল মোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।
কম্বোডিয়ার সেলিব্রেটি সেফ লু মেং বলেন, চীনা পর্যটকরা বেশ বিলাসী। তারা এখানে ভাল সময় কাটাতে চান। স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও এখানে আসেন। তাদের পছন্দ অনুযায়ী কিছুটা ভিন্ন সেবা দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত।
কম্বোডিয়ার সাম্প্রতিক উন্নয়নে চীনা বিনিয়োগের অনেক বড় অবদান আছে বলছেন বিশ্লেষকরা। যা ভবিষ্যতে দেশটিকে বিলাসী পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভারতকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করে অর্থপূর্ণ সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। আজ শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্কে ভারতের বক্তব্যের জবাবে এই আহ্বান জানান জাতিসংঘে...
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর সরাসরি ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ভারতের উত্তর প্রদেশে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার...
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ‘নিষ্ঠুরতম পর্যায়ে’ পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো গয়।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নয়, বিএনপি নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ...
কম্বোডিয়ায় আবাসন খাতে বাড়ছে চীনা বিনিয়োগ
প্রায় ৫ বছর আগেও রাজধানী নম পেনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছিল সব মিলিয়ে মাত্র ১৫শ। কিন্তু বর্তমানে সে সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ২২ হাজারেরও বেশি বিলাসবহুল আবাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টই নির্মাণ করা হচ্ছে মূলত চীনা ক্রেতাদের লক্ষ্য করে। যার প্রতিটির ভাড়া হবে ১ হাজার ডলার, যেখানে কম্বোডিয়ার মাথাপিছু গড় আয় তেরশো ডলার।
কম্বোডিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক পরিষদ বলছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশটিতে সরাসরি চীনা বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। পাশাপাশি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগও দ্বিগুণ বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে দেশটির আবাসন খাতের।
চীফ অপারেশন অফিসার সেরাজ শাটান বলেন, কম্বোডিয়ায় বিনিয়োগ বেশ লাভজনক। দেশটির আবাসন প্রকল্পগুলোর দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে। গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদেরও ভালো মুনাফা হবে।
বিনিয়োগের পাশাপাশি চীনা পর্যটক আকর্ষণে সক্ষম কম্বোডিয়া। সরকারী হিসেবে, ২০১৭ সালে ১২ লাখেরও বেশি পর্যটক সফর করেছে দেশটিতে। যা এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৬ ভাগ বেশি। আর তাদের কেন্দ্র করেই বাড়ছে হোটেল মোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।
কম্বোডিয়ার সেলিব্রেটি সেফ লু মেং বলেন, চীনা পর্যটকরা বেশ বিলাসী। তারা এখানে ভাল সময় কাটাতে চান। স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও এখানে আসেন। তাদের পছন্দ অনুযায়ী কিছুটা ভিন্ন সেবা দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত।
কম্বোডিয়ার সাম্প্রতিক উন্নয়নে চীনা বিনিয়োগের অনেক বড় অবদান আছে বলছেন বিশ্লেষকরা। যা ভবিষ্যতে দেশটিকে বিলাসী পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
/এন-এইচ/