রসায়নে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ৩ রসায়নবিদ
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:১৭ পিএমআপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:২০ পিএম
রসায়নে নোবেলপ্রাপ্ত তিনজন
প্রোটিনের রূপান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি দিয়েছে নোবেল কমিটি। এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস এইচ আর্নল্ড এবং জর্জ পি স্মিথ ও যুক্তরাজ্যের স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার। ফ্রান্সেস আর্নল্ড হলেন রসায়নে নোবেল পাওয়া পঞ্চম নারী। সুইডেনের স্টকহোমে ১০ ডিসেম্বর তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
জীবদেহের এনজাইমের বিবর্তন নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস আর্নল্ড। ১৯৯৩ সালে আর্নল্ড এনজাইমকে নিয়ন্ত্রিতভাবে বিবর্তনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এনজাইম প্রাণিদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
আর্নল্ডের আবিষ্কৃত পদ্ধতি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রতিভাবে এনজাইমের বির্বতন সম্ভব হয়েছে, যার সাহায্যে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও ওষুধ প্রস্তুত করা যাচ্ছে। আর এই অবদানের কারণে পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ পাচ্ছেন তিনি।
আর যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পি স্মিথ এবং যুক্তরাজ্যের স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার রসায়নে নোবেল পেয়েছেন পেপটাইড ও অ্যান্টিবডিতে ফেজ ডিসপ্লে পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য। ১৯৮৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরির জর্জ পি স্মিথ ফেজ ডিসপ্লে পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
এই পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়াতে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটিয়ে নতুন প্রোটিন সৃষ্টি করেন তিনি। আর গ্রেগরি উইন্টার এই ফেজ ডিসপ্লে পদ্ধতি ব্যবহার করে অ্যান্টিবডির নিয়ন্ত্রিত বিবর্তন ঘটান। এর মাধ্যমে নতুন ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর গোরান হ্যানসন বলেন,"এনজাইমের নিয়ন্ত্রিত বিবর্তনের সূত্র অনুসন্ধানের জন্য নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস এইচ আর্নল্ড। তিনি পাবেন পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ। আর বাকি অর্ধেক পাবেন, যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পি স্মিথ এবং যুক্তরাজ্যের স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার ফেজ ডিসপ্লের মাধ্যমে পেপটাইড ও অ্যান্টিবডি সৃষ্টিতে অবদান রাখার জন্য।"
পরীক্ষাগারে চার্লস ডারউইনের নীতির প্রয়োগ ঘটিয়ে সফল হয়েছেন বলেই তারা নোবেল পেয়েছেন বলে বিবৃতি দিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি সুইডেন। ফ্রান্সিস এইচ আর্নল্ডের আগে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আরো চার নারী।
লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ১৬ পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে বোমাগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম তথ্য পায় উলার প্যারিশ কাউন্সিল। এরপর ফেব্রুয়ারির শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে খননকাজ শুরু হয়। মাটির নিচে এখনো অনেক...
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওজন নিয়ন্ত্রণ ও স্থূলতা প্রতিরোধের পরামর্শবিষয়ক একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম...
মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সংস্থাটি ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টার সমালোচনা করে তাঁর অফিস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার...
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকেরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে মামলা করার অনুরোধ করে এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। গত ১০...
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধে গত দেড় বছরে গাজা এতটাই বিধ্বস্ত হয়েছে, এটির প্রাথমিক পুনর্গঠন কাজ করতে প্রথম তিন বছরে ২০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হবে। আর...
রসায়নে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ৩ রসায়নবিদ
জীবদেহের এনজাইমের বিবর্তন নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস আর্নল্ড। ১৯৯৩ সালে আর্নল্ড এনজাইমকে নিয়ন্ত্রিতভাবে বিবর্তনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এনজাইম প্রাণিদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
আর্নল্ডের আবিষ্কৃত পদ্ধতি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রতিভাবে এনজাইমের বির্বতন সম্ভব হয়েছে, যার সাহায্যে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও ওষুধ প্রস্তুত করা যাচ্ছে। আর এই অবদানের কারণে পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ পাচ্ছেন তিনি।
আর যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পি স্মিথ এবং যুক্তরাজ্যের স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার রসায়নে নোবেল পেয়েছেন পেপটাইড ও অ্যান্টিবডিতে ফেজ ডিসপ্লে পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য। ১৯৮৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরির জর্জ পি স্মিথ ফেজ ডিসপ্লে পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
এই পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়াতে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটিয়ে নতুন প্রোটিন সৃষ্টি করেন তিনি। আর গ্রেগরি উইন্টার এই ফেজ ডিসপ্লে পদ্ধতি ব্যবহার করে অ্যান্টিবডির নিয়ন্ত্রিত বিবর্তন ঘটান। এর মাধ্যমে নতুন ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর গোরান হ্যানসন বলেন,"এনজাইমের নিয়ন্ত্রিত বিবর্তনের সূত্র অনুসন্ধানের জন্য নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস এইচ আর্নল্ড। তিনি পাবেন পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ। আর বাকি অর্ধেক পাবেন, যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পি স্মিথ এবং যুক্তরাজ্যের স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার ফেজ ডিসপ্লের মাধ্যমে পেপটাইড ও অ্যান্টিবডি সৃষ্টিতে অবদান রাখার জন্য।"
পরীক্ষাগারে চার্লস ডারউইনের নীতির প্রয়োগ ঘটিয়ে সফল হয়েছেন বলেই তারা নোবেল পেয়েছেন বলে বিবৃতি দিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি সুইডেন। ফ্রান্সিস এইচ আর্নল্ডের আগে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আরো চার নারী।
/এ এইচ/