প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৯, ০১:২১ পিএমআপডেট : ০১ জুন ২০১৯, ০৩:৩১ পিএম
প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে ইরাকের মসুলে
দীর্ঘ কয়েক বছরের যুদ্ধাবস্থা, সংঘাত, সহিংসতা আর অচলাবস্থা কাটিয়ে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে ইরাকের মসুলে। রমজান মাসে আবারও আগের রূপ ফিরে পেয়েছে শহরটি। খেলা, নদীতে সাঁতার আর বড় ধরণের ইফতারসহ রমজানের সাথে যুক্ত নানা ঐতিহ্যবাহী আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত মসুলবাসী।
পবিত্র রমজানে তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ওল্ড ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছে স্থানীয়রা। টাইগ্রিস নদীর দুই কূলের সংযোগ রক্ষা করে এই ওল্ড ব্রিজ বা আয়রন ব্রিজ।
প্রতি বছরই বন্ধুদের সাথে এখানে সাঁতার কাটতে আসে মসুলের ওল্ড সিটির বাসিন্দা আব্দুল কাদির।
মসুল ওল্ড সিটির বাসিন্দা ইউসুফ আব্দুল কাদির বলেন, আগে প্রতি বছর রোযার সময় আমরা এখানে বন্ধুদের সাথে আসতাম। তীব্র গরম আর তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে আমরা এখানে সন্ধ্যা নামার আগ পর্যন্ত সাঁতার কাটি।
রোযার সময় বিভিন্ন ফলমূল ও সবজির শরবত এবং মিষ্টি জাতীয় খাবারের চাহিদা বাড়ে। পূর্ব মসুলের বাজারের দোকানগুলোতে তাই তাজা ফলের শরবত কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
দোকান মালিক মোহাম্মাদ বলেন, আমরা ষাটের দশক থেকে এখানে আঙুরের শরবত বানাচ্ছি। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই পরম্পরা পেয়েছি আমরা। প্রতি রোযায় মসুলের প্রতিটা পরিবার এই শরবত কিনে থাকে।
বাজারে কিছুদূর হাঁটলেই পাওয়া যাবে বাদাম আর মধুর তৈরি রমজানের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। এছাড়াও পাওয়া যাবে আঁচার আর ইরাকি তন্দুরি রুটি। আর পশ্চিম মসুলের আল মনসুর জেলায় দেখা যাবে, ভাত আর মুরগীর বড় হাড়িতে করে শিক্ষার্থীদের ইফতার বিতরণের চিত্র। অনেক সময় আবার খাদ্যের দ্রব্যমূল্য বেশি হওয়ায় বিনামূল্যেও এমন ইফতার বিতরণ করা হয়।
ইরাকে রমজানের আরেকটি ঐতিহ্য হল মওলিদ গান। এই গানের মাধ্যমে মহানবী (সা:)-কে শ্রদ্ধা জানানো হয় ইরাকে। ফিরে এসেছে ঐতিহ্যবাহী খেলা মেহেবেসও।
টানা কয়েক বছরের সংঘাতময় পরিস্থিতি, প্রাণহানি আর আগ্রাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর আবারো খোলা আকাশে শ্বাস নিচ্ছেন মসুলের মানুষ।
২০১৪ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের দখলে যাওয়ার পর মসুলে রমজানের সব ধরনের ঐতিহ্যবাহী আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর...
ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পশ্চিম ইয়েমেনের ওই বন্দরে এ হামলায় আহতের সংখ্যা শতাধিক।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ হামলার সময় বন্দুকধারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
আমেরিকায় মাঝ আকাশে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আগুন ধরে গেছে। এরপর দ্রুত ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করা হয়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। ইঞ্জিনে খরগোশ এসে পড়ায় সেখান...
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে মো. নুরুল হক নামে এক ব্যক্তিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আড়াই টার দিকে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট মেরুং...
বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বসেছে। এতে ৪ ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন জ্যোতিরা। বাংলাদেশ নিজেদের শেষ...
জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে জোয়ার সাহারা খাঁ পাড়া এলাকার মো. রাশেদুজ্জামান রাজুর বাসার সামনে এসে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে আলিনুর পাভেলসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জন।...
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া উত্তর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে তাঁদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আইএসমুক্ত হওয়ার পর ফিরেছে মসুলের ঐতিহ্য
পবিত্র রমজানে তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ওল্ড ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছে স্থানীয়রা। টাইগ্রিস নদীর দুই কূলের সংযোগ রক্ষা করে এই ওল্ড ব্রিজ বা আয়রন ব্রিজ।
প্রতি বছরই বন্ধুদের সাথে এখানে সাঁতার কাটতে আসে মসুলের ওল্ড সিটির বাসিন্দা আব্দুল কাদির।
মসুল ওল্ড সিটির বাসিন্দা ইউসুফ আব্দুল কাদির বলেন, আগে প্রতি বছর রোযার সময় আমরা এখানে বন্ধুদের সাথে আসতাম। তীব্র গরম আর তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে আমরা এখানে সন্ধ্যা নামার আগ পর্যন্ত সাঁতার কাটি।
রোযার সময় বিভিন্ন ফলমূল ও সবজির শরবত এবং মিষ্টি জাতীয় খাবারের চাহিদা বাড়ে। পূর্ব মসুলের বাজারের দোকানগুলোতে তাই তাজা ফলের শরবত কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
দোকান মালিক মোহাম্মাদ বলেন, আমরা ষাটের দশক থেকে এখানে আঙুরের শরবত বানাচ্ছি। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই পরম্পরা পেয়েছি আমরা। প্রতি রোযায় মসুলের প্রতিটা পরিবার এই শরবত কিনে থাকে।
বাজারে কিছুদূর হাঁটলেই পাওয়া যাবে বাদাম আর মধুর তৈরি রমজানের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। এছাড়াও পাওয়া যাবে আঁচার আর ইরাকি তন্দুরি রুটি। আর পশ্চিম মসুলের আল মনসুর জেলায় দেখা যাবে, ভাত আর মুরগীর বড় হাড়িতে করে শিক্ষার্থীদের ইফতার বিতরণের চিত্র। অনেক সময় আবার খাদ্যের দ্রব্যমূল্য বেশি হওয়ায় বিনামূল্যেও এমন ইফতার বিতরণ করা হয়।
ইরাকে রমজানের আরেকটি ঐতিহ্য হল মওলিদ গান। এই গানের মাধ্যমে মহানবী (সা:)-কে শ্রদ্ধা জানানো হয় ইরাকে। ফিরে এসেছে ঐতিহ্যবাহী খেলা মেহেবেসও।
টানা কয়েক বছরের সংঘাতময় পরিস্থিতি, প্রাণহানি আর আগ্রাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর আবারো খোলা আকাশে শ্বাস নিচ্ছেন মসুলের মানুষ।
২০১৪ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের দখলে যাওয়ার পর মসুলে রমজানের সব ধরনের ঐতিহ্যবাহী আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়।
/এম-আই/