ভারতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন অমিত শাহ

ভারতের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দুপুরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন ৫৪ বছরের এই রাজনীতিক। অমিত শাহের নেতৃত্বে নতুন আকার পেতে যাচ্ছে ভারতের স্বরাষ্ট্রনীতি এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের ধারণা, নাগরিক সনদ এবং জম্মু কাশ্মীর ইস্যুতে বিজেপির কঠোর অবস্থান বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে পারেন অমিত শাহ।

মোদির এবারের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন অমিত শাহ। বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির দুইবারের নিরঙ্কুশ জয়ের নেপথ্যে ভূমিকা পালন করেছে তার সাংগঠনিক নৈপুণ্য।

কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অমিত শাহের অতীত ইতিহাস থেকে খুব সহজেই অনুমান করা যায় রাজনাথ সিং এর তুলনায় বেশ কড়া মন্ত্রী হবেন অমিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনেক কর্তা ব্যক্তিই মনে করছেন, ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন বা এনআরসি কার্যকর করে অবৈধ অভিবাসণ ইস্যুতে কঠোরতা অবলম্বন করবেন নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নতুন রূপ পেতে পারে রাজ্যগুলোর সাথে কেন্দ্রের সম্পর্ক।

নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে অন্যতম ইস্যু হতে যাচ্ছে জম্মু কাশ্মীর। নির্বাচনি ইশতিহারে কাশ্মীরের নাগরিকদের দেয়া বিশেষ অধিকার তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। কাশ্মীরিদের স্বায়ত্বশাষন এবং আলাদা পতাকার অধিকার তুলে নেয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হলে, পরবর্তি সংকট কিভাবে মোকাবিলা করবেন অমিত শাহ তাও দেখার বিষয়।

জম্মু কাশ্মীরের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বিবাদমান ইস্যুও পেতে পারে নতুন দিক। বিশেষ করে পাকিস্তান ইস্যু যে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন অমিত শাহ তা তার নির্বাচনি প্রচারে দেয়া বক্তব্য থেকেই অনুমেয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন অমিত শাহ। সেসময় গুজরাত দাঙ্গার মত ইস্যুতে সমালোচনায় আসেন তিনি। ২০১০ সালে গুজরাতে আইনবহির্ভূতভাবে এক মুসলিম দম্পতি হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্তও ছিলেন অমিত শাহ। ২০১৪ সালে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে তাকে খালাস দেয় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ায় দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।

/এন-এইচ/