প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিবন্ধীদের জন্য ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান মিশরের হোপ একাডেমী

প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিবন্ধীদের জন্য এক ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে মিশরে। শারীরিকভাবে অক্ষম সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হোপ একাডেমি নামের এ প্রতিষ্ঠান খোলেন ছয় ভুক্তভোগী অভিভাবক।

একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুল ছাড়তে হয় মিশরে। তাই অনেক অভিভাবকই উদ্বিগ্ন থাকেন সন্তানের পরবর্তী জীবনের নিশ্চয়তা নিয়ে। তাদের আশা দিতেই বু্দ্ধি-প্রতিবন্ধী ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যাক্তিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে হোপ একাডেমী।হোপ একাডেমীর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হোদা দারুয়স বলেন, আমার মেয়েকে যখন তার আগের স্কুল ছাড়তে হলো, তখন আমি খুব বিব্রত হয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল। আমি বুঝতেই পারছিলাম না মেয়েকে কি ভাবে দেখে রাখবো বা কোথায় নিয়ে যাবো।

৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিবন্ধীকে নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন অনেক বাবা মা-ই তাদের সন্তানদের নিয়ে আসছেন এখানে। প্রতিবন্ধীদের স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিতের পাশাপাশি হোপ একাডেমি ভূমিকা রাখছে বেকারত্ব কমাতেও। হোপ একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা নাগলা আহমেদ বলেন, আমারা তাদের কাজের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর রাখি। কাজকর্ম ছাড়া জীবন ধারণ করা কঠিন। কাজের মাধ্যমে তাদের মধ্যে মনোবল তৈরি হয় ও তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।

কারিগরি প্রশিক্ষন নিয়ে প্রতিবন্ধীরা নানা পণ্য তৈরির পাশাপাশি সেগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জনও করতে পারছেন। আর এভাবেই অভিভাবকদের আস্থা নিয়ে তাদের শারীরিকভাবে অক্ষম সন্তানদের নতুন জীবন শুরু হচ্ছে হোপ একাডেমীতে।


//এম-এম//