প্রকাশ : ০৯ জুন ২০১৯, ০৫:১৩ পিএমআপডেট : ০৯ জুন ২০১৯, ০৫:৩০ পিএম
প্লাস্টিক দিলেই মিলে পড়াশুনা
বেতনের পরিবর্তে প্লাস্টিক জমা দিলেই মিলবে পড়াশুনার সুযোগ। ভারতের আসামে তরুণ এক দম্পতি এমনই এক স্কুল খুলেছেন। প্রতি সপ্তাহে স্কুলটির শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিতে হয়। শুধু তাই নয় প্লাস্টিক রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপার্জনেরও সুযোগ থাকছে। মূলত, পরিবেশ দূষণ রোধে আগামী প্রজন্মকে সচেতন করতেই অভিনব এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন মাযিন দম্পতি।
পরিবেশ দূষণ রোধে ছোট ছোট পদক্ষেপও যে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে তার প্রমান দিয়েছে ভারতের আসামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি স্কুল। যেখানে পড়াশোনার জন্য স্কুলের বেতনের বদলে শিক্ষার্থীদের জমা দিতে হয় প্লাস্টিক ও পলিথিন ধরনের সামগ্রী।
আসামের গৌহাটি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্কুলের নাম 'অক্ষর'। ব্যতিক্রমী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে তরুণ এক দম্পতি। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে স্কুলটি। শুরুর যাত্রাটা সহজ ছিল না, কারণ দিস্পুর গ্রামটির বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে। অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোটা তাদের কাছে বিলাসিতা।
অক্ষর স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠতা মাযিন মুখতার বলেন, "শুরুর দিকে প্লাস্টিক পাঠানোর কথা বলায় বাবা-মারা আগ্রহ পান নি। কিন্তু পরে যখন বেতনের পরিবর্তে প্লাস্টিক দেয়ার নিয়ম জারি করা হয় তখন তারা উৎসাহ পান। এরপর ধীরে ধীরে পুনর্ব্যবহার প্রক্রিয়ায় কাজ করা এবং প্লাস্টিক পুড়িয়ে ফেলার ব্যাপারেও তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রকল্প নিই আমরা।"
বর্তমানে স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১০ ছাড়িয়েছে। প্রতি সপ্তাহে নিজেদের ব্যবহার করা অন্তত ২০ টুকরা প্লাস্টিক জমা দিতে হয় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে। সপ্তাহে যত প্লাস্টিক জমা হয় সেগুলো দিয়ে ইকো-ব্রিক তৈরি করা হয়। অক্ষর স্কুলে পুনর্ব্যবহার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ১০ বছরের বড় শিশুরা উপার্জনের সুযোগও পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, "স্কুলের কিশোররা প্রতিটি ৫০০ মিলি. প্লাস্টিক বোতলে ২০ থেকে ৪০ টি প্লাস্টিক ব্যাগ ভরে তা দিয়ে ইকো ব্রিক তৈরি করে। যা আমরা স্কুলের নানারকম নির্মাণ কাজে ব্যবহার করি। এই কাজে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা কিছু অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে।"
মাযিন দম্পতি জানান, এই পদক্ষেপ হাতে নেয়ার পর গ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার প্রবনতা অনেক কমে এসেছে। মানুষের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি অপচয় রোধের অভ্যাস গড়ে উঠেছে।
পেহেলগামকাণ্ডে আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। আর তাতে সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সদয় হতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার এয়ার ফোর্স...
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারত সিন্ধু নদ থেকে পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানি প্রবাহিত হতে দেবে না। এমনটি বলেছেন ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী সিআর পাতিল।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার জেরে গত কয়েক দিন ধরে প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এ হামলার জন্য ভারত সরাসরি দায়ী করেছে পাকিস্তানকে। ৪৮...
ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে দর্শকের কৌতূহলের শেষ নেই—চলচ্চিত্রের পর্দার বাইরেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে নানা গুঞ্জন। স্ত্রী অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও...
এ ঘটনার প্রতিবাদে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন বয়কট করে মাদ্রিদ। পাশাপাশি ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও অংশ নেননি কার্লো আনচেলত্তি ও লুকা মদ্রিদ। লস ব্ল্যাঙ্কোদের এমন কড়া অবস্থানের পর...
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনা নিজেরাই সমাধান করবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।...
বেতনের পরিবর্তে প্লাস্টিক দিলেই মিলবে পড়াশুনা
পরিবেশ দূষণ রোধে ছোট ছোট পদক্ষেপও যে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে তার প্রমান দিয়েছে ভারতের আসামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি স্কুল। যেখানে পড়াশোনার জন্য স্কুলের বেতনের বদলে শিক্ষার্থীদের জমা দিতে হয় প্লাস্টিক ও পলিথিন ধরনের সামগ্রী।
আসামের গৌহাটি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্কুলের নাম 'অক্ষর'। ব্যতিক্রমী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে তরুণ এক দম্পতি। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে স্কুলটি। শুরুর যাত্রাটা সহজ ছিল না, কারণ দিস্পুর গ্রামটির বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে। অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোটা তাদের কাছে বিলাসিতা।
অক্ষর স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠতা মাযিন মুখতার বলেন, "শুরুর দিকে প্লাস্টিক পাঠানোর কথা বলায় বাবা-মারা আগ্রহ পান নি। কিন্তু পরে যখন বেতনের পরিবর্তে প্লাস্টিক দেয়ার নিয়ম জারি করা হয় তখন তারা উৎসাহ পান। এরপর ধীরে ধীরে পুনর্ব্যবহার প্রক্রিয়ায় কাজ করা এবং প্লাস্টিক পুড়িয়ে ফেলার ব্যাপারেও তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রকল্প নিই আমরা।"
বর্তমানে স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১০ ছাড়িয়েছে। প্রতি সপ্তাহে নিজেদের ব্যবহার করা অন্তত ২০ টুকরা প্লাস্টিক জমা দিতে হয় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে। সপ্তাহে যত প্লাস্টিক জমা হয় সেগুলো দিয়ে ইকো-ব্রিক তৈরি করা হয়। অক্ষর স্কুলে পুনর্ব্যবহার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ১০ বছরের বড় শিশুরা উপার্জনের সুযোগও পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, "স্কুলের কিশোররা প্রতিটি ৫০০ মিলি. প্লাস্টিক বোতলে ২০ থেকে ৪০ টি প্লাস্টিক ব্যাগ ভরে তা দিয়ে ইকো ব্রিক তৈরি করে। যা আমরা স্কুলের নানারকম নির্মাণ কাজে ব্যবহার করি। এই কাজে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা কিছু অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে।"
মাযিন দম্পতি জানান, এই পদক্ষেপ হাতে নেয়ার পর গ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার প্রবনতা অনেক কমে এসেছে। মানুষের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি অপচয় রোধের অভ্যাস গড়ে উঠেছে।
//এমআর//