প্রকাশ : ১২ জুন ২০১৯, ০৩:৫৭ পিএমআপডেট : ১২ জুন ২০১৯, ০৪:০৯ পিএম
সিরিয়ায়
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর অভিযান দীর্ঘায়িত হলে ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সোমবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করে দ্রুত অস্ত্রবিরতি পুনরায় কার্যকরের আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
পাশাপাশি সিরিয়ায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান না হওয়ায় শরনার্থী সংকট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের।
২০১৮ সালের সেপ্টেস্বরে ইদলিবে নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে সমঝোতায় পৌঁছায় তুরস্ক ও রাশিয়া। এর ধারাবাহিকতায় আত্মসম্পর্ণ ছাড়াও এলাকায় ছেড়ে যায় কয়েকশো বিরোধী যোদ্ধা। এরপরও এবছরের ৩০ এপ্রিল ইদলিবের পশ্চিমাঞ্চল এবং হামা ও লাতাকিয়ায় অভিযান জোরদার করে সরকারি বাহিনী।
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শেষ ঘাঁটির দখল নিতে আকাশ পথে আসাদ বাহিনীকে সহায়তা করছে রুশ বিমান।
গত সপ্তাহে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান জোরদার করে বিরোধীরা। হামা প্রদেশের দুইটি গ্রামের দখল নেয় তারা। আরেক প্রদেশ ইদলিবে, সরকারি বাহিনী ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি হামলায় শতাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে অর্ধশতই সরকারি বাহিনীর সদস্য।
ইদলিবে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতায় বিপাকে পরেছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এদের বেশিরভাগই গৃহযুদ্ধ শুরুর পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইদলিবে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সিরিয়ার চলমান পরিস্থিতিকে চরম মানবিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর এই অভিযান দীর্ঘায়িত হলে ২০ লাখ মানুষ তুরস্কে পালিয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
সিরিয়ার আট বছরের গৃহযুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে চলতি বছর দাতা দেশগুলোর প্রতি ৩শ ৩০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তার আবেদন করে জাতিসংঘ। কিন্তু এপর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫০ কোটি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন হবে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।
জাতিসংঘের হিসেবে ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় প্রাণ গেছে ৪ লাখ মানুষের। তবে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দাবি, এপর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫ লাখ ৭০ হাজার। দেশের ভেতরে এবং বাইরে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, পাকিস্তানে প্রতিবেশী ভারতের সামরিক অভিযান আসন্ন। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর মারাত্মক হামলার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের...
স্পেন, ফ্রান্স ও পর্তুগালের বড় এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনে তিনদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ সোমবার তিনি এই ঘোষণা দেন। তবে এখন থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। এটি কার্যকর থাকবে আগামী মাসের তিনদিন।
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানে উত্তেজনা কমছেই না। সীমান্তে সংঘাতের পাশাপাশি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এবার দেশটির ওয়াজিরিস্তানে শান্তি আলোচনা চলার সময় একটি...
পরকীয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি ও ইমাম ওমর ফারুককে (৩৫) পিটিয়েছে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী শহিদুল ইসলাম। মারধরের পর তিনি দাবি করেছেন, ‘আমার সাথে ওই নারীর কোন শারীরিক সম্পর্ক নেই।...
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মো. শাকিল (২৮) নামে যুবদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কোপানো হয়েছে তার ছোট ভাইকে। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারের...
আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে সপরিবারে নানা রকম বাঙালিয়ানা পোশাক পরিধানে অসংখ্য পরিবারের উপস্থিতিতে উৎসবস্থল পরিণত হয় মিলন মেলায়। এ যেন একখণ্ড বাংলাদেশ।
অভিযান দীর্ঘায়িত হলে ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে
পাশাপাশি সিরিয়ায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান না হওয়ায় শরনার্থী সংকট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের।
২০১৮ সালের সেপ্টেস্বরে ইদলিবে নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে সমঝোতায় পৌঁছায় তুরস্ক ও রাশিয়া। এর ধারাবাহিকতায় আত্মসম্পর্ণ ছাড়াও এলাকায় ছেড়ে যায় কয়েকশো বিরোধী যোদ্ধা। এরপরও এবছরের ৩০ এপ্রিল ইদলিবের পশ্চিমাঞ্চল এবং হামা ও লাতাকিয়ায় অভিযান জোরদার করে সরকারি বাহিনী।
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শেষ ঘাঁটির দখল নিতে আকাশ পথে আসাদ বাহিনীকে সহায়তা করছে রুশ বিমান।
গত সপ্তাহে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান জোরদার করে বিরোধীরা। হামা প্রদেশের দুইটি গ্রামের দখল নেয় তারা। আরেক প্রদেশ ইদলিবে, সরকারি বাহিনী ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি হামলায় শতাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে অর্ধশতই সরকারি বাহিনীর সদস্য।
ইদলিবে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতায় বিপাকে পরেছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এদের বেশিরভাগই গৃহযুদ্ধ শুরুর পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইদলিবে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সিরিয়ার চলমান পরিস্থিতিকে চরম মানবিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর এই অভিযান দীর্ঘায়িত হলে ২০ লাখ মানুষ তুরস্কে পালিয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
সিরিয়ার আট বছরের গৃহযুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে চলতি বছর দাতা দেশগুলোর প্রতি ৩শ ৩০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তার আবেদন করে জাতিসংঘ। কিন্তু এপর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫০ কোটি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন হবে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।
জাতিসংঘের হিসেবে ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় প্রাণ গেছে ৪ লাখ মানুষের। তবে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দাবি, এপর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫ লাখ ৭০ হাজার। দেশের ভেতরে এবং বাইরে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ।
/এসআইএস/