প্রকাশ : ১২ জুন ২০১৯, ০৪:১৮ পিএমআপডেট : ১৩ জুন ২০১৯, ০৬:১০ পিএম
আইএস
ইরাক ও সিরিয়ার দখল হারানোর পর এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে শুরু করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-আইএস। যুদ্ববিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে এরইমধ্যে আধিপত্য বিস্তার শুরু করেছে জঙ্গিরা। মার্কিন ও স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আফগানিস্তানে পুরোদমে সদস্য সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছে আইএস।
আফগান ভূখণ্ড থেকে তালেবান উৎখাতে প্রায় দুই দশক ধরে দেশটিতে অভিযান চালিয়ে আসছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। বিদেশী সেনাবাহিনীর সাথে তালেবান বিরোধী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় নিরাপত্তাবাহিনীও। কিন্তু বর্তমানে তালেবানের চেয়েও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-আইএস।
২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় খেলাফত ঘোষণার পরপরই আফগানিস্তানে মাথাচাড়া দিতে থাকে আইএস সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন। সেসময় নিজেদের খোরাসান প্রোভিন্স হিসেবে উল্লেখ করে তারা।
শুরুতে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী, আফগানিস্তানের পূর্বের নঙ্গরহার প্রদেশে নিজেদের ঘাঁটি বানায় জঙ্গিরা। বর্তমানে দেশটির উত্তরাঞ্চল এবং কুনার প্রদেশেও নিজেদের অবস্থান জোরদার করেছে আইএস।
প্রাদেশিক কাউন্সিল সদস্য, নঙ্গরহারর আজমল ওমর জানান, আইএসের মোটেও পতন হয়নি। তারা এখন ঘাপটি মেরে আছে। সময় সুযোগ বুঝে তারা আবারো মাথাচাড়া দেবে। কিছুদিন আগে কুনারে এসেছে, কে জানে অন্য প্রদেশে হয়তো আরো বেশি সংখ্যায় ঘাঁটি গেড়েছে।
আজমল ওমর আরো জানান, জঙ্গিদের কাছে স্নাইপার, অন্ধকারে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জামসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। আমাদের বিমানবাহিনীর এমন অস্ত্র নেই। কাজেই তাদের প্রতিহত করা আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান যদি বিদেশী জঙ্গিদের ঘাঁটিও হয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
দক্ষ বিদেশী যোদ্ধা আর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে তালেবানের চেয়ে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে আইএস। সম্প্রতি রাজধানী কাবুলে একাধিক হামলা চালিয়ে সেটাই জানান দিয়েছে জঙ্গিরা। এসব হামলাকে পশ্চিমাবিশ্বে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
এতোদিন তালেবানের ভয়ে থাকা বেসামরিক আফগানদের কাছে নতুন আতঙ্কের নাম এখন আইএস। শিগিগিরি জঙ্গি সংগঠনটির দৌরাত্ম্য থামাতে না পারলে ইরাক, সিরিয়ার লাখো মানুষের মতো ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা তাদের।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, পাকিস্তানে প্রতিবেশী ভারতের সামরিক অভিযান আসন্ন। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর মারাত্মক হামলার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের...
স্পেন, ফ্রান্স ও পর্তুগালের বড় এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনে তিনদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ সোমবার তিনি এই ঘোষণা দেন। তবে এখন থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। এটি কার্যকর থাকবে আগামী মাসের তিনদিন।
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানে উত্তেজনা কমছেই না। সীমান্তে সংঘাতের পাশাপাশি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এবার দেশটির ওয়াজিরিস্তানে শান্তি আলোচনা চলার সময় একটি...
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন হজ ফ্লাইট-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
পরকীয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি ও ইমাম ওমর ফারুককে (৩৫) পিটিয়েছে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী শহিদুল ইসলাম। মারধরের পর তিনি দাবি করেছেন, ‘আমার সাথে ওই নারীর কোন শারীরিক সম্পর্ক নেই।...
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মো. শাকিল (২৮) নামে যুবদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কোপানো হয়েছে তার ছোট ভাইকে। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারের...
আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতার সুযোগে আইএসের আধিপত্য
আফগান ভূখণ্ড থেকে তালেবান উৎখাতে প্রায় দুই দশক ধরে দেশটিতে অভিযান চালিয়ে আসছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। বিদেশী সেনাবাহিনীর সাথে তালেবান বিরোধী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় নিরাপত্তাবাহিনীও। কিন্তু বর্তমানে তালেবানের চেয়েও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-আইএস।
২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় খেলাফত ঘোষণার পরপরই আফগানিস্তানে মাথাচাড়া দিতে থাকে আইএস সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন। সেসময় নিজেদের খোরাসান প্রোভিন্স হিসেবে উল্লেখ করে তারা।
শুরুতে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী, আফগানিস্তানের পূর্বের নঙ্গরহার প্রদেশে নিজেদের ঘাঁটি বানায় জঙ্গিরা। বর্তমানে দেশটির উত্তরাঞ্চল এবং কুনার প্রদেশেও নিজেদের অবস্থান জোরদার করেছে আইএস।
প্রাদেশিক কাউন্সিল সদস্য, নঙ্গরহারর আজমল ওমর জানান, আইএসের মোটেও পতন হয়নি। তারা এখন ঘাপটি মেরে আছে। সময় সুযোগ বুঝে তারা আবারো মাথাচাড়া দেবে। কিছুদিন আগে কুনারে এসেছে, কে জানে অন্য প্রদেশে হয়তো আরো বেশি সংখ্যায় ঘাঁটি গেড়েছে।
আজমল ওমর আরো জানান, জঙ্গিদের কাছে স্নাইপার, অন্ধকারে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জামসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। আমাদের বিমানবাহিনীর এমন অস্ত্র নেই। কাজেই তাদের প্রতিহত করা আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান যদি বিদেশী জঙ্গিদের ঘাঁটিও হয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
দক্ষ বিদেশী যোদ্ধা আর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে তালেবানের চেয়ে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে আইএস। সম্প্রতি রাজধানী কাবুলে একাধিক হামলা চালিয়ে সেটাই জানান দিয়েছে জঙ্গিরা। এসব হামলাকে পশ্চিমাবিশ্বে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
এতোদিন তালেবানের ভয়ে থাকা বেসামরিক আফগানদের কাছে নতুন আতঙ্কের নাম এখন আইএস। শিগিগিরি জঙ্গি সংগঠনটির দৌরাত্ম্য থামাতে না পারলে ইরাক, সিরিয়ার লাখো মানুষের মতো ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা তাদের।
/এসআইএস/