প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২০, ০৬:৫২ পিএমআপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২০, ০৬:৫২ পিএম
প্রণব মুখার্জি
ভারতের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন প্রণব মুখার্জি। দেশটির প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভারতের পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নড়াইলের জামাই প্রণব। দেশটির রাজনীতিতে বিভিন্ন সংকট সমাধানে নিজেকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন প্রণব।
ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ এই নেতা ১৩তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ২০১২ সালে।
বাংলাদেশের বন্ধু বলে পরিচিত প্রণব মুখার্জি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে দিয়েছেন সমর্থন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভারতের পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন প্রভাবশালী এই রাজনীতিক।
বাংলাদেশের সাথে আছে প্রণবের আত্মীয়তার সম্পর্ক। নড়াইলের জামাই তিনি। ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশের নড়াইলের শুভ্রা মুখার্জিকে বিয়ে করেন প্রণব।
১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কীর্ণাহারে মিরাটি গ্রামে জন্ম ভারতের রাজনীতির এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের।
ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাড়াও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন প্রণব। কর্মজীবন শুরু করেন কলেজ শিক্ষক হিসেবে। কিছুদিন সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন।
১৯৬৯ সালে রাজনীতির যাত্রা শুরু প্রণব মুখার্জির। ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর দ্রুত ইন্দিরা গান্ধীর বিশ্বস্ত সহযোগীতে পরিণত হন প্রণব।
১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় শিল্প উন্নয়ন উপমন্ত্রী হিসেবে প্রথম মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। কংগ্রেস দলের প্রভাবশালী নেতা প্রণব- দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ভারতের অর্থ, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে প্রণব ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। নানা সংকট সমাধানে কংগ্রেসের অপরিহার্য নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক পরমাণু চুক্তির মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন প্রণব।
ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার পর আশির দশকের মাঝামাঝি সময় একবার কংগ্রেস থেকে বিতাড়িতও হয়েছিলেন প্রণব। তবে আবার ফিরে আসেন ১৯৮৯ সালে।
দেশের প্রতি অবদানের জন্য তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ ও শ্রেষ্ঠ সংসদ সদস্যের পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের মার্কিন পরিকল্পনা মোকাবিলা করতে জরুরি বৈঠকে বসছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। মুসলিম প্রধান দেশগুলোর সংস্থাটির অন্যতম সদস্য দেশ মিশর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
‘বাংলাদেশে জুলাই ও আগস্ট ২০২৪-এ সংঘটিত প্রতিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অবমাননা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির তথ্যকে উপজীব্য করে আজ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে প্রতিবেদন করেছে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ...
গাজা পুনর্গঠনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের শামিল বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিযোগ, ওয়াশিংটন একটি যুদ্ধাপরাধের সমাধান আরেকটি যুদ্ধাপরাধ দিয়ে...
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় তিন জেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার পর ডাকাত সাজিয়ে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। মোবাইলে সেই ভিডিও...
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫-এ যোগ দিতে দুবাই পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি সেখানে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন...
গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ৯৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রস্তাব (অফার) করেছেন চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই-কে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির মালিক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই অবশ্য এরুপ কোনো...
'বিদায়' বাংলাদেশের বন্ধু প্রণব মুখার্জি
ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ এই নেতা ১৩তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ২০১২ সালে।
বাংলাদেশের বন্ধু বলে পরিচিত প্রণব মুখার্জি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে দিয়েছেন সমর্থন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভারতের পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন প্রভাবশালী এই রাজনীতিক।
বাংলাদেশের সাথে আছে প্রণবের আত্মীয়তার সম্পর্ক। নড়াইলের জামাই তিনি। ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশের নড়াইলের শুভ্রা মুখার্জিকে বিয়ে করেন প্রণব।
১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কীর্ণাহারে মিরাটি গ্রামে জন্ম ভারতের রাজনীতির এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের।
ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাড়াও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন প্রণব। কর্মজীবন শুরু করেন কলেজ শিক্ষক হিসেবে। কিছুদিন সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন।
১৯৬৯ সালে রাজনীতির যাত্রা শুরু প্রণব মুখার্জির। ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর দ্রুত ইন্দিরা গান্ধীর বিশ্বস্ত সহযোগীতে পরিণত হন প্রণব।
১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় শিল্প উন্নয়ন উপমন্ত্রী হিসেবে প্রথম মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। কংগ্রেস দলের প্রভাবশালী নেতা প্রণব- দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ভারতের অর্থ, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে প্রণব ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। নানা সংকট সমাধানে কংগ্রেসের অপরিহার্য নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক পরমাণু চুক্তির মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন প্রণব।
ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার পর আশির দশকের মাঝামাঝি সময় একবার কংগ্রেস থেকে বিতাড়িতও হয়েছিলেন প্রণব। তবে আবার ফিরে আসেন ১৯৮৯ সালে।
দেশের প্রতি অবদানের জন্য তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ ও শ্রেষ্ঠ সংসদ সদস্যের পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
/এম-আই/