প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২২, ০১:০৯ পিএমআপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২২, ০৩:৩৮ পিএম
পাম বিচ শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার-এ-লাগো । ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)। সোমবার তার ফ্লোরিডার বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের বাড়িতে এফবিআইয়ের এমন অভিযানের ঘটনা নজিরবিহীন। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করা বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ফ্লোরিডার পাম বিচে আমার সুন্দর মার-এ-লাগো বাড়িটা এখন অবরুদ্ধ। অভিযান চালিয়ে বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এফবিআই সদস্যদের বড় একটি দল।’
তিনি আরো বলেন, 'এ ঘটনা জাতির জন্য কালো দিন।'
এ অভিযান প্রসঙ্গে ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প বলেন, মার-এ-লাগো বাসভবনে এফবিআইয়ের তল্লাশিপরোয়ানা বাস্তবায়নের বিষয়টি ন্যাশনাল আর্কাইভসের নথিপত্র ব্যবস্থাপনা তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বিবিসি জানিয়েছে, গোপন নথিপত্রের সন্ধানে এ তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানের সময় ট্রাম্প তার নিউইয়র্কের বাড়িতে ছিলেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি, তিনি তদন্তকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। তাই অঘোষিত অভিযানের প্রয়োজন ছিল না বলে অভিযোগ করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প আরো বলেন, এটা ‘বিচারিক অসদাচরণের’ শামিল এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঠেকাতে ‘বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের’ নামান্তর।
ট্রাম্প বলেন, ‘এ ধরনের হয়রানি শুধু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই ঘটতে পারে। দুঃখজনকভাবে আমেরিকা এখন সেসব দেশে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির এই মাত্রা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের দাপ্তরিক কাগজপত্র ব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্ত করতে বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল আর্কাইভস। সংস্থাটি প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক নথিপত্র সংরক্ষণ করে থাকে।
ন্যাশনাল আর্কাইভস জানায়, তারা ‘মার-এ-লাগো’ থেকে ১৫টি বাক্স পুনরুদ্ধার করেছে। এসব বাক্সের কয়েকটিতে স্পর্শকাতর অতি গোপনীয় নথিপত্র ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের সব চিঠি, কাজের নথি ও ই–মেইল ন্যাশনাল আর্কাইভসে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধভাবে অনেক নথি ছিঁড়ে ফেলেছেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে বোমাগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম তথ্য পায় উলার প্যারিশ কাউন্সিল। এরপর ফেব্রুয়ারির শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে খননকাজ শুরু হয়। মাটির নিচে এখনো অনেক...
মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সংস্থাটি ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টার সমালোচনা করে তাঁর অফিস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার...
আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করেছে ভারত। চুক্তি অনুযায়ী, খুব শিগগিরই প্রথমবারের মতো ম্যান-পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (ম্যানপ্যাডস) পেতে যাচ্ছে ভারতীয়...
ইউক্রেন কোনো একদিন রাশিয়ার হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, গত সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেন।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মো. আল আমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত...
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিস্টদের বিভিন্ন চক্রান্ত প্রতিরোধের দাবিতে বিএনপির ডাকা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ। আজ...
ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে এফবিআইয়ের অভিযান
যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করা বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ফ্লোরিডার পাম বিচে আমার সুন্দর মার-এ-লাগো বাড়িটা এখন অবরুদ্ধ। অভিযান চালিয়ে বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এফবিআই সদস্যদের বড় একটি দল।’
তিনি আরো বলেন, 'এ ঘটনা জাতির জন্য কালো দিন।'
এ অভিযান প্রসঙ্গে ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প বলেন, মার-এ-লাগো বাসভবনে এফবিআইয়ের তল্লাশিপরোয়ানা বাস্তবায়নের বিষয়টি ন্যাশনাল আর্কাইভসের নথিপত্র ব্যবস্থাপনা তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বিবিসি জানিয়েছে, গোপন নথিপত্রের সন্ধানে এ তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানের সময় ট্রাম্প তার নিউইয়র্কের বাড়িতে ছিলেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে ট্রাম্পের দাবি, তিনি তদন্তকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। তাই অঘোষিত অভিযানের প্রয়োজন ছিল না বলে অভিযোগ করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প আরো বলেন, এটা ‘বিচারিক অসদাচরণের’ শামিল এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঠেকাতে ‘বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের’ নামান্তর।
ট্রাম্প বলেন, ‘এ ধরনের হয়রানি শুধু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই ঘটতে পারে। দুঃখজনকভাবে আমেরিকা এখন সেসব দেশে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির এই মাত্রা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের দাপ্তরিক কাগজপত্র ব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্ত করতে বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল আর্কাইভস। সংস্থাটি প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক নথিপত্র সংরক্ষণ করে থাকে।
ন্যাশনাল আর্কাইভস জানায়, তারা ‘মার-এ-লাগো’ থেকে ১৫টি বাক্স পুনরুদ্ধার করেছে। এসব বাক্সের কয়েকটিতে স্পর্শকাতর অতি গোপনীয় নথিপত্র ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের সব চিঠি, কাজের নথি ও ই–মেইল ন্যাশনাল আর্কাইভসে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধভাবে অনেক নথি ছিঁড়ে ফেলেছেন।
/এম.এস/