প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২২, ০৯:২৩ পিএমআপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩৫ পিএম
সংগৃহীত ছবি
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে জোট ভাঙলেন বিহারের জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডিইউ) নেতা নিতীশ কুমার। বিজেপির সঙ্গত্যাগের সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নীতীশ কুমার।
মঙ্গলবার রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
বিজেপির বিরুদ্ধে বিহারে জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডিইউ) ভাঙানোর অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বিজেপি-র সঙ্গ ছেড়ে পদত্যাগ করলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে নীতীশ কুমার বলেন, দলের সাংসদ-বিধায়কদের সম্মতি নিয়েই এ পদত্যাগ এবং এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিহারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসে কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), জেডিইউ।
বৈঠকের পরই স্থির হয়- বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকছে না নীতিশ কুমারের দল। একইসঙ্গে ঠিক হয় জেডিইউ-কে সমর্থন দেবে কংগ্রেস, আরজেডি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা। গঠিত হবে মহাজোটের নতুন সরকার। এদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, নীতীশ যা করেছেন তা বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই না।
বিহার বিজেপির প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, আমরা দু’দল ২০২০-এর নির্বাচনে এনডিএর অংশ হিসেবে এক সঙ্গে ভোটে লড়েছিলাম। মানুষ এই জোটে ভরসা রেখে ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন। জেডিইউ আমাদের চেয়ে কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলাম। তার পর আজ যা হল, তাকে বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কী বলা যায়!
২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে জোটে জটিলতা দেখা দেয়। সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়ক সুশীল মোদী ছিলেন নীতীশ ঘনিষ্ঠ। কিন্তু এবার সরকার গঠনের পরই তাকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
বর্তমানে বিহার বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪২। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ১২১ জন বিধায়কের সমর্থন। বর্তমানে জেডিইউ বা নীতিশ কুমারের দলের বিধায়ক সংখ্যা ৪৪। বিজেপি’র বিধায়ক সংখ্যা ৭৭। কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৯। তেজস্বী যাদবের আরজেডি’র ৭৯ জন বিধায়ক আছে।
এছাড়া, বামেদের মধ্যে সিপিআইএমএল-এর ১২ জন বিধায়কসহ সিপিআই ও সিপিআইএম এর দুজন করে এমএলএ, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মানঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার (এইচএএম) ৪ জন বিধায়ক এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থনও আছে নীতিশ কুমারের।
ফলে জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস, এইচএএম, সিপিআইএমএল- এর জোট ১৬০ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার সীমা পার করবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির পরও ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিনি। তুর্কি বার্তা সংস্থা...
২০২৪ সালে বিশ্বের রেকর্ডসংখ্যক সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। বুধবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আহমদ আল–শারার নেতৃত্ব সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভিযানের মুখে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গত ৮ ডিসেম্বর রাশিয়ায় পালিয়ে যান। স্বৈরশাসক আসাদের পরিবার প্রায় ২৫ বছর ধরে দেশটি শাসন...
মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র—সব মাধ্যমেই পদচিহ্ন রেখে গেছেন হুমায়ুন ফরীদি। মঞ্চ দিয়ে তাঁর অভিনয়জীবনের হাতেখড়ি। তবে টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন...
দাবি মানার আশ্বাসে সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। বিকেলে সচিবালয়ে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক শেষে এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের...
বিজেপিকে ছেড়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পদত্যাগ
মঙ্গলবার রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
বিজেপির বিরুদ্ধে বিহারে জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডিইউ) ভাঙানোর অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বিজেপি-র সঙ্গ ছেড়ে পদত্যাগ করলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে নীতীশ কুমার বলেন, দলের সাংসদ-বিধায়কদের সম্মতি নিয়েই এ পদত্যাগ এবং এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিহারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসে কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), জেডিইউ।
বৈঠকের পরই স্থির হয়- বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকছে না নীতিশ কুমারের দল। একইসঙ্গে ঠিক হয় জেডিইউ-কে সমর্থন দেবে কংগ্রেস, আরজেডি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা। গঠিত হবে মহাজোটের নতুন সরকার।
এদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, নীতীশ যা করেছেন তা বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই না।
বিহার বিজেপির প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, আমরা দু’দল ২০২০-এর নির্বাচনে এনডিএর অংশ হিসেবে এক সঙ্গে ভোটে লড়েছিলাম। মানুষ এই জোটে ভরসা রেখে ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন। জেডিইউ আমাদের চেয়ে কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলাম। তার পর আজ যা হল, তাকে বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কী বলা যায়!
২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে জোটে জটিলতা দেখা দেয়। সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়ক সুশীল মোদী ছিলেন নীতীশ ঘনিষ্ঠ। কিন্তু এবার সরকার গঠনের পরই তাকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
বর্তমানে বিহার বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪২। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ১২১ জন বিধায়কের সমর্থন। বর্তমানে জেডিইউ বা নীতিশ কুমারের দলের বিধায়ক সংখ্যা ৪৪। বিজেপি’র বিধায়ক সংখ্যা ৭৭। কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৯। তেজস্বী যাদবের আরজেডি’র ৭৯ জন বিধায়ক আছে।
এছাড়া, বামেদের মধ্যে সিপিআইএমএল-এর ১২ জন বিধায়কসহ সিপিআই ও সিপিআইএম এর দুজন করে এমএলএ, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মানঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার (এইচএএম) ৪ জন বিধায়ক এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থনও আছে নীতিশ কুমারের।
ফলে জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস, এইচএএম, সিপিআইএমএল- এর জোট ১৬০ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার সীমা পার করবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।