ভারতে বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৩৫

ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে ভারতের চার রাজ্যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেবল হিমাচল প্রদেশেই প্রাণ গেছে ২২ জনের। তাদের মধ্যে ৮ জন একই পরিবারের সদস্য। এখনও নিখোঁজ থাকা ৬ জনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে আগামী সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।

টানা বৃষ্টি থেকে বন্যায় ভয়াবহ অবস্থায় ভারতের ৪ রাজ্য হিমাচল, উত্তরাখন্ড, ওড়িশা ও ঝাড়খন্ড। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

বন্যা ও ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিমাচলের মান্দি, কানগ্রা ও চাম্বা জেলায়। এর মধ্যে মান্দি জেলার বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে। কয়েকটি মহাসড়কসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে সাতশ রাস্তা। ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। রাজ্যটির হামিরপুর জেলায় আটকে পড়া ২২ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যে।

ওড়িশার মহানদী তীরবর্তী অঞ্চলের ৫ শতাধিক গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কয়েকটি দল কাজ করছে। ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভাঞ্জ এবং বালাসোরে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

ঝাড়খন্ডে বন্যার পানিতে গাছ উপড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎসংকট। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। দূষিত পানি পান করায় দ্রুত এসব অঞ্চলে কলেরা ও জন্ডিসের মত জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পরার শংকা করছে উদ্ধারকর্মীরা।

এদিকে ভারতের মধ্য প্রদেশ ও পূর্ব রাজস্থানে সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, এবারের বর্ষা মৌসুমে আসাম, মেঘালয়, এবং হিমাচলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হলেও স্বাভাবিকের চেয়ে ২২ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে।

/ই.হ/