নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যেখানে আগে থেকেই মার্কিন সেনারা অবস্থান করছেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এর আগে দেশটিতে থাকা মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল নাইজারের সামরিক সরকার। এবার জান্তা সরকার তাদের একটি বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনা মোতায়েন করল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিমানঘাঁটিটি নাইজারের রাজধানী নিয়ামে অবস্থিত। এটির নাম এয়ারবেস–১০১। সেখানে আগে থেকেই মার্কিন সেনারা রয়েছে। ওই বিমানঘাঁটির একটি পৃথক কমপাউন্ডে রুশ সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন আজ হনুলুলুতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রুশ সেনারা মার্কিন সেনাদের জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি করেননি। তাঁরা একটি পৃথক কমপাউন্ডে রয়েছেন। আমরা আমাদের সেনাদের সুরক্ষার ব্যাপারে সব সময় সতর্ক রয়েছি। আপাতত আমাদের সেনাদের সেখানে কোনো সমস্যা নেই।’
নাইজারের সাহেল অঞ্চলটিকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর নতুন কেন্দ্রস্থল মনে করা হয়। সেখানে থেকেই তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জিহাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। গত কয়েক বছর ধরে নাইজারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের সঙ্গে আইএসের সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে। তারা আইএস মোকাবিলায় রাশিয়ার দ্বারস্থ হয়েছে। এয়ারবেস–১০১ বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনা মোতায়েন এটিই প্রমাণ করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ বছরের শুরুতে নাইজারের কর্মকর্তারা মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়েছিল যে, নাইজারে অন্তত ৬০ জন রুশ সেনা মোতায়েন করা হবে। আজ কতজন রুশ সেনা নাইজারের বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে, তা জানা যায়নি। অন্যদিকে কতজন মার্কিন সৈন্য সেখানে রয়েছেন, সেটিও জানা যায়নি।
নাইজারে থাকা বেশির ভাগ মার্কিন সেনা মিয়ামির উত্তর–পূর্বে আগাদেজ শহরের একটি ড্রোনঘাঁটিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।