লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজি থেকে প্রায় ৪৪১ কিলোমিটার দূরে জিখারা অঞ্চলের একটি খামারে গণকবরে ১৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে জাওইয়া শহরের দিলা বন্দর থেকে আরও ১০টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার লিবিয়ার আলওয়াহাত জেলার নিরাপত্তা অধিদপ্তর জানায়, গণকবরে পাওয়া মরদেহগুলো সম্ভবত চোরাচালানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা অধিদপ্তরের ফেসবকু পেজে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তা এবং জালু শহরের রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা মরদেহগুলো কালো প্লাস্টিক ব্যাগে রাখছেন।
অন্যদিকে দিলা বন্দরে পাওয়া মরদেহগুলো অভিবাসীদের একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পরদিন উদ্ধার করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবীরা পোতাশ্রয়ে মরদেহগুলোকে সাদা ব্যাগে রাখছেন। আর একজন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিটি ব্যাগের ওপর নম্বর বসাচ্ছেন।
আলওয়াহাত নিরাপত্তা অধিদপ্তর তাদের বিবৃতিতে বলেছে, খামারের মোট তিনটি কবরে মরদেহগুলো পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি কবর থেকে একটি, আরেকটি কবর থেকে চারটি এবং অন্যটি থেকে ১৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মরদেহগুলো ফরেনসিক চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
সংঘাত ও দারিদ্রের কবল থেকে বাঁচতে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করতে লিবিয়াকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে। ঝুঁকিপূর্ণ এই রুটে প্রায়ই অভিবাসীরা মৃত্যুমুখে পড়েন।