স্বাস্থ্যগত অবনতি হওয়ার পর কথা বলতে পারছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিজীবী ও দার্শনিক নোয়াম চমস্কি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত বছরের জুন থেকেই প্রকাশ্যে আসছেন না ৯৫ বছর বয়সী চমস্কি। মার্কিন এই বুদ্ধিজীবী ফিলিস্তিনিদের একজন সমর্থক। তিনি ইসরায়েলি রাষ্ট্রকে অপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে গাজা যুদ্ধ নিয়ে এ পর্যন্ত তাঁকে কিছু বলতে শোনা যায়নি।
ব্রিটিশ মিডিয়া বিশ্লেষণ ওয়েবসাইট মিডিয়া লেন্সের একটি পোস্টে বলা হয়, স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় কখনোই হয়তো আর প্রকাশ্যে আসা হবে না চমস্কির।
মার্কিন এই ভাষাবিদের সাবেক ম্যানেজার বেভ স্টোলের বরাত দিয়ে মিডিয়া লেন্স জানায়, গত জুন মাস থেকে অসুস্থ চমস্কি। অনেকেই লক্ষ্য করেছেন যে, তিনি লিখছেন না বা সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না। কারণ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তাঁর বেশিরভাগ সময় এবং শক্তি কেড়ে নিচ্ছে।
চমস্কির জন্ম ১৯২৮ সালের ৭ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর ফিলাডেলফিয়ায়। তাঁর পরিবার ছিল ইহুদি অভিবাসী।
চমস্কি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ভাষাতত্ত্বের দর্শনে পারদর্শী হওয়ার আগে তিনি প্রথমে ভাষাতত্ত্ব ও আধুনিক হিব্রু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন।
১৯৬০ এর দশকের পর থেকে চমস্কি ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিজের রাজনৈতিক ভিন্নমত প্রকাশের পাশাপাশি প্রতিবাদে শামিল হন। তার এমন কর্মকাণ্ডে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পর্যন্ত ভাবতে শুরু করে।
পরবর্তী সময়েও চমস্কি নিজের রাজনৈতিক দর্শন প্রকাশ ও প্রতিবাদের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। যার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল যুদ্ধ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী অবস্থান এবং বাক স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়েও চমস্কি সবসময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যে অল্প সংখ্যক বুদ্ধিজীবী ফিলিস্তিনে চালানো ইসরায়েলের ক্রমাগত দখলদারিত্ব নিয়ে সমালোচনা করেন, তিনি তার মধ্যে অন্যতম।