আমেরিকার বেশ কয়েকটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক হ্যাক করেছে চীনের একদল হ্যাকার। এসব নেটওয়ার্ক হ্যাক করে দেশটির সরকারের আদালত সংক্রান্ত সিস্টেম থেকে বিভিন্ন তথ্য চুরি করেছে তারা। শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্যই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভেরিজোন কমিউনিকেশনস, লুমেন টেকনোলজিস ও এ অ্যান্ড টিসহ বেশ কয়েকটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে এই হামলা চালায় চীনা হ্যাকাররা। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
মাসের পর মাস এসব টেলিকম প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে চীনা হ্যাকারদের অ্যাক্সেস ছিল বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান যেসব জায়গায় সেবা দিয়েছে, সেখান থেকেও চুরি হয়েছে তথ্য। তবে এ ব্যাপারে হ্যাক হওয়া কোনো প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত মন্তব্য করেনি।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর রোববার এক প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সাইবার হামলার ব্যাপারে তারা অবগত নয়। তবে আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। মন্ত্রণালয় দাবি করে, চীনকে হেয় করতে বারবার এমন নাটক সাজাচ্ছে আমেরিকা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘সাইবার নিরাপত্তা বিশ্বের সব দেশের জন্য একটি সাধারণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন সময় আমেরিকার এই ভ্রান্ত পদ্ধতিটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথভাবে আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
আগেও মার্কিন সিস্টেম হ্যাক করে তথ্য চুরির বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল চীনের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রতিবারই এই অভিযোগ নাকচ করেছে চীন। এবারও তেমন প্রতিক্রিয়াই পাওয়া গেল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, চীনা সরকারের মদদপুষ্ট একটি হ্যাকিং গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল গোয়েন্দা তথ্য চুরি করা। মার্কিন গোয়েন্দারা একে ‘সল্ট টাইফুন’ নামে অভিহিত করেছেন।