উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো তাদের উত্তর সীমান্তে আকস্মিকভাবে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের পর মেক্সিকো সরকার এমন পদক্ষেপ নিল।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সিউদাদ হুয়ারেজ ও টেক্সাসের এল পাসোর মধ্যবর্তী সীমান্তে মেক্সিকোর ন্যাশনাল গার্ড ও সেনাবাহিনীর ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এ ছাড়া সীমান্ত শহর তিজুয়ানায়ও ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এপি বলছে, টহলরত সেনারা সীমান্ত এলাকা থেকে মই ও দড়ি উদ্ধার করেছে। তারা বলছে, অবৈধ অভিবাসীরা সীমান্তের বেড়া টপকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছেন, তিনি মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এরপর গত সপ্তাহে তিনি মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেন।
এরই মধ্যে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিপজ্জনক ফেন্টানাইল মাদক চোরাচালান রোধের প্রতিশ্রুতি দেন।
ট্রাম্প শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক দ্রব্য ফেন্টানাইল ও অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে। এ ছাড়া অস্ত্র চোরাচালানও ঘটছে এই সীমান্ত দিয়ে। এসব ঠেকাতে মেক্সিকোর ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প এবং সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেন।
ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপের পর সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে মেক্সিকো। ন্যাশনাল গার্ডের কর্মকর্তা হোসে লুইস সান্তোস ইজা বলেন, ‘এখন থেকে সীমান্তে স্থায়ী নজরদারি থাকবে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য অবৈধ অনুপ্রবেশসহ মাদক চোরাচালান, বিশেষ করে ফেন্টানাইল বন্ধ করা।’
মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, সিউদাদ হুয়ারেজে কমপক্ষে ১ হাজার ৬৫০ জন সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, যা তিজুয়ানা সীমান্তের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিজুয়ানায় ১ হাজার ৯৪৯ জন সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে মেক্সিকোর এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।