আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত ২০০ জনেরও বেশি ভেনেজুয়েলার নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে তাঁদের বহনকারী একটি বিমান দেশটিতে পৌঁছায়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনকে ওই ব্যক্তিদের অন্য দেশে পাঠাতে নিষেধ করার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন তাঁদের বিমানে উঠিয়ে দেয়। এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুকেলে লিখেছেন, রোববার সকালে ভেনেজুয়েলার অপরাধমূলক সংগঠন গ্যাং ট্রেন ডি আরাগুয়ার ২৩৮ জন সদস্য এবং মেক্সিকান গ্যাং এমএস-১৩ এর ২৩ জন সদস্য পৌঁছেছেন।
এমন সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাসিতদের পাঠাল, যখন একজন ফেডারেল বিচারক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাসনের ন্যায্যতা দেওয়ার প্রশ্নে শতাব্দীপ্রাচীন যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ করতে বাধা দেন।
বুকেলে লিখেছেন, আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে এক বছরের জন্য এল সালভাদরের সন্ত্রাসবাদ বন্দীকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। তাদের সেখানে আরও দীর্ঘ সময় ধরে রাখা হতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এল সালভাদরে অভিযুক্ত গ্যাং সদস্যদের পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বুকেলেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা নেতা বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে শনিবার সন্ধ্যায় মার্কিন জেলা বিচারক জেমস বোসবার্গ ট্রাম্পের ঘোষণার আওতায় নির্বাসন বন্ধের নির্দেশ দেন। আইনটি সরকারকে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ব্যক্তিদের আটক এবং নির্বাসন দেওয়ার অনুমতি দেয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, নির্বাসিতদের বহনকারী বিমানগুলো উড়ে গেছে শুনে, বিচারক বোসবার্গ তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
রুবিও এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, আমাদের দেশ থেকে শত শত সহিংস অপরাধীকে পাঠানো হয়েছে।
বুকেলের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের সাথে সংযুক্ত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাত-পা বেঁধে সশস্ত্র কর্মকর্তারা বিমান থেকে নেমে আসছেন। কিছু বন্দীকে সাঁজোয়া যানের পেছনে রাখা হচ্ছে, আবার কিছু বন্দীকে, অফিসাররা মাথা নিচু করে ঠেলে দিচ্ছেন, তাদেরকে জোর করে বাসে তোলা হচ্ছে।
ভিডিওটিতে এল সালভাদরের কুখ্যাত মেগা-জেল সেকোটে বাসগুলোকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
নবনির্মিত সর্বোচ্চ নিরাপত্তার এই কারাগারটি বুকেলের একটি গর্বিত অর্জন এবং দেশের সংগঠিত অপরাধ দমনের জন্য তার প্রচেষ্টার অংশ। ৪০ হাজার জন পর্যন্ত লোক ধারণ করতে পারে এমন এই কারাগারটি বন্দীদের সাথে দুর্ব্যবহারের জন্য সমালোচিত হয়েছে।