বাইডেন প্রশাসনের সময় হিউম্যানিটেরিয়ান প্যারোল প্রকল্পের আওতায় বৈধভাবেই আমেরিকায় ছিলেন তারা। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের সময় এখনো তারা বৈধ। কিন্তু এসব বৈধ ইউক্রেনীয়দের দেশ ছাড়তে বলছে মার্কিন প্রশাসন। রীতিমতো ইমেইল পাঠিয়ে তাদের দেশ ছাড়তে বলা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, চলতি সপ্তাহেই এই প্রকল্পের আওতায় আমেরিকায় থাকা ইউক্রেনীয়রা বিশেষ এক নোটিশ পেয়েছেন। এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) থেকে। আর এই নোটিশ পেয়ে আতঙ্ক বেড়েছে বাকিদের মধ্যেও।
‘আপনাদের আমেরিকা ত্যাগ করার সময় এসেছে’–বৃহস্পতিবার আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে এমন মেসেজ পেয়েছেন কিছু ইউক্রেনীয়। তারা বলছে, এটি ‘প্যারোল অবসানের নোটিশ’। এমন নোটিশ দেখেছে সিএনএন।
সিএনএনের পাওয়া মেসেজ থেকে জানা যায়, তাদের প্যারোল সাতদিনের মধ্যে শেষ হবে এবং একটি সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, ‘আমেরিকায় থাকার চেষ্টা করবেন না, ফেডারেল সরকার আপনাকে খুঁজে বের করবে।’
যারা ইমেইলটি পেয়েছিলেন, মাত্র একদিন পরে তাদের বলা হয়েছিল যে, এটি ‘ভুলবশত’ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, মূলত জারি করা প্যারোলের শর্তাবলী এই সময়ে অপরিবর্তিত রয়েছে।’
ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন দমনের চেষ্টা করার সময়ই এই বিভ্রান্তিকর বার্তাগুলো এসেছে। শত শত অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র এবং ইসরায়েলের সমালোচকদের আটক করা হচ্ছে, যারা বৈধভাবে আমেরিকায় আছেন।
সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ডিএইচএস নিশ্চিত করেছে যে, প্যারোল প্রোগ্রামের আওতায় কিছু ইউক্রেনীয়কে পাঠানো বার্তাটি ভুল ছিল এবং প্যারোল প্রোগ্রামটি এখনও বন্ধ করা হয়নি। একজন মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন, প্রোগ্রামটি শেষ করার কোনো পরিকল্পনাও নেই।
এর আগে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জানুয়ারিতে ডিএইচএস প্রোগ্রামের আওতায় ভর্তি স্থগিত করে।