অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালা। এর দায়ে তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচার চলার পর স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দেশটির একটি আদালত এই কারাদণ্ড দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, হুমালার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াকেও ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যদিও প্রসিকিউশন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর স্ত্রীর আরও বেশি শাস্তি দাবি করেছিলেন।
রাজধানী লিমার ওই আদালতে বলা হয়, হুমালা ২০০৬ এবং ২০১১ সালে তাঁর নির্বাচনী প্রচারের জন্য ব্রাজিলিয়ান নির্মাণ সংস্থা ওডেব্রেখট থেকে অবৈধ তহবিল গ্রহণ করেছিলেন। স্ত্রী হেরেদিয়া নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। হুমালার দল ন্যাশনালিস্ট পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হেরেদিয়া।
প্রসিকিউশন হুমালার ২০ বছর এবং হেরেদিয়ার সাড়ে ২৬ বছরের সাজা চেয়েছিল। তবে দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচার চলার পর আদালত তাদের ১৫ বছর কারাদণ্ড দেন। হুমালা ও হেরেদিয়া দুজনই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
অর্থ পাচার মামলার রায় ঘোষণার সময় হুমালা আদালতে উপস্থিত ছিলেন, আর তাঁর স্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেন। হেরেদিয়া ও তাঁর ছেলে ব্রাজিলে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।