আমেরিকায় মাঝ আকাশে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আগুন ধরে গেছে। এরপর দ্রুত ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করা হয়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। ইঞ্জিনে খরগোশ এসে পড়ায় সেখান থেকে আগুন ধরে যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসিনিউজ বলছে, গত রোববার ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আলবার্তার এডমন্টনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ইউনাইটেড ফ্লাইট ২৩২৫। উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় এতে। বিমানটি উড্ডয়নের আগে ইঞ্জিনে একটি খরগোশ ঢুকে পড়ার পর আগুনের সূত্রপাত বলে মনে হচ্ছে।
মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (এফএএ) বলছে, ওই সময় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজে ১৫৩ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিলেন। উড্ডয়নের পর তাদেরকে অন্য ফ্লাইটে আলবার্তার এডমন্টনে পাঠানো হয়।
একজন যাত্রী জানান, খরগোশটি যখন টারবাইনে পড়ে, তখন তিনি একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। তারপর বিমানটি উপরে উঠতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কম্পন শুরু হল। তিনি বলেন, ‘প্রতি মুহূর্তে ইঞ্জিন থেকে আগুন আসছিল, এর পেছনে ছিল একটি বিশাল আগুনের গোলা। বিমানের সবাই তখন আতঙ্কিত।’
আরেকজন যাত্রীও তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এবং ভেবেছিলেন বিমানটি বিধ্বস্ত হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘আমার পেট খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং কেবল ভাবছিলাম, আমি বিমান বিধ্বস্ত হতে দেখব।’
ইউনাইটেড এয়ারলাইনস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ডেনভার থেকে এডমন্টনগামী আমাদের ফ্লাইটটি সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলা করে নিরাপদে ডেনভারে ফিরে এসেছে।’ ঘটনার বিষয়ে এফএএর তদন্ত চলছে।
মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (এফএএ) তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ৭১৩টি মার্কিন বিমানবন্দরে প্রায় ১৯ হাজার ৪০০টি ফ্লাইটে বন্যপ্রাণীর কারণে এমন সংকটের খবর পাওয়া গেছে।