মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফরের সময় এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ওই আলোচনা নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ১০০ ভাগ, একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে। কিন্তু এটি হবে একটি ন্যায্য চুক্তি। আর মেলোনি বলেছেন, তিনি ‘নিশ্চিত’ যে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবেন। তাঁর লক্ষ্য ‘পশ্চিমকে আবার মহান করা’।
ট্রাম্প আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্কনীতি ঘোষণার করে তা আবার স্থগিত করার ঘটনার মধ্যেই মেলোনি প্রথম ইউরোপীয় নেতা হিসেবে ওয়াশিংটন সফর করলেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর কথা বলেন তাঁরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি চীনের সাথে ‘একটি খুব ভালো চুক্তি’ করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি আরও বলেন, বেইজিংয়ের প্রতিনিধিরা ‘বেশ কয়েকবার’ যোগাযোগ করেছেন।
বিবিসি লিখেছে, ট্রাম্প এবং মেলোনির মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিশ্বব্যাপী যে প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ইতালীয় নেতা নিজেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আশা করছেন।
তবে চূড়ান্ত চুক্তির ব্যাপারে তাঁর আত্মবিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও ট্রাম্প বলেছেন, তাড়াহুড়ো নয়। সবাই একটি চুক্তি করতে চায়। যদি তারা কোনো চুক্তি করতে না চায়, আমরা তাদের জন্য চুক্তি করব।
আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি দেশের সঙ্গে তাঁরা চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দেন, তিনি চীনের ওপর শুল্ক আর বাড়াতে ইচ্ছুক নন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি হয়তো আর বেশি করতে চাই না। আমি হয়তো কমাতে চাই, কারণ আপনি জানেন, আপনি চান, মানুষ কিনুক এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে মানুষ কিনবে না।
ট্রাম্প এবং মেলোনি কথোপকথনের পর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা প্রতিরক্ষা ব্যয়, অভিবাসন এবং শুল্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন।