কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা পর্যবেক্ষণ করছে আমেরিকা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ট্যামি ব্রুস জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না। আমি এটা উপলব্ধি করছি । এই বিষয়ে আমি আর কিছু বলব না। প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলার বলেছেন, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলবো না।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আগেই স্পষ্ট করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে আছে এবং সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা নিহতদের জন্য প্রার্থনা করি এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি দ্রুত পরিবর্তনশীল একটি পরিস্থিতি এবং আমরা এটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আর আমরা বর্তমানে কাশ্মীর বা জম্মুর মর্যাদা নিয়ে কোনো অবস্থান নিচ্ছি না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এরইমধ্যে শোক প্রকাশ করেছেন।
গত ২২ এপ্রিল মিনি সুইজারল্যান্ড নামে পরিচিত পেহেলগামের বৈসরানে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা চলছে। যে কোনো সময় এই দেশ দুটি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।