রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার তাঁদের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হয়।
এদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, পুতিন বলেছেন, ট্রাম্পের সাথে তাঁর কথোপকথন ‘অকপট এবং অর্থপূর্ণ’ ছিল। পুতিন আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতিসহ এ সম্পর্কিত সমঝোতা বা এ ধরনের স্মারক নিয়ে কাজ করতে রাশিয়া প্রস্তুত। মস্কো ইউক্রেন সংকটের একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য মার্কিন ভূমিকার জন্য ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কেন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে তার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখার ওপর গুরত্বারোপ করেন পুতিন।
এদিকে পুতিন সঙ্গে ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন 'অবিলম্বে' আলোচনা শুরু করবে। ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সাথে তার ফোনালাপ ‘খুব ভালো’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওই পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতি এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনা শুরু করবে। এর জন্য শর্তগুলি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা করা হবে। কারণ তারাই কেবল শর্তগুলির বিশদ জানে যা অন্য কেউ জানবে না।’
ট্রাম্প বলেছেন, এই আলোচনা ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ তিনি বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
তিনি বিশ্বাস করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রভাবের কারণে যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারে। ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বাস করেন যে, প্রাথমিকভাবে এই সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল, এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিল।
তাই, সংঘাতের তথাকথিত মূল কারণগুলি সমাধান করার জন্য পুতিনের ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
পোপরা প্রায়শই শান্তির আহ্বান জানালেও, যুদ্ধ বন্ধের জন্য ভ্যাটিকান সরাসরি কূটনীতিতে জড়িত হওয়ার রীতি নেই। কিন্তু ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছেন, প্রথম আমেরিকান পোপ হিসেবে পোপ লিও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংকট সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন এবং সেই প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও সামরিক জোট ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে আলাপ করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।