অবেশেষে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের অনুমোদন পেল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’। এ নিয়ে বিরোধী শিবিরতো বটেই বিরোধীতা এসেছে নিজ দল থেকেও। এরপরও বিল পাস হওয়াকে ট্রাম্পের জন্য বড় রাজনৈতিক জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই বিল নিম্নবিত্তদের বঞ্চিত করে সরকারি অর্থ ধনীদের কাছে বণ্টনের ব্যবস্থা করেছে, যা নজিরবিহীন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই একটি বিশাল আকারের, অসামান্য ব্যয় প্যাকেজের কথা বলে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষায়, এই ‘বিগ বিউটিফুল বিল’মার্কিন জনগণের অনেক সমস্যার সমাধান করবে। তবে সরকারি ব্যয় অনুমোদনের এই বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
এই বিলে মার্কিন কংগ্রেসের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাম্পকে। শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টিই নয়—রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারাও বিলটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ওই বিলে জাতীয় দেনা বড় আকারে বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতা কমিয়ে আনার প্রস্তাব রাখায় বিরোধিতা করেন কংগ্রেসের সদস্যরা।
অবেশেষে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের অনুমোদন পেল ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল বিল। এই সরকারি ব্যয় প্যাকেজে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অনেকগুলোই পূরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা খাতে ব্যয় সংকোচ করার পাশাপাশি এই বিলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং অভিবাবসনপ্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারেও এই বিলে বিপুল অর্থ ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে এই বিলে। সেইসাথে থাকছে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রতিশ্রুত সাড়ে চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কর কমানোর মেয়াদ বৃদ্ধি।
এসব উদ্যোগে এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দেনার সঙ্গে বাড়তি ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ হবে। যার ফলে রেকর্ড বাজেট ঘাটতির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁরা বলছেন এই বিল নিম্নবিত্তদের বঞ্চিত করে সরকারি অর্থ ধনীদের কাছে বণ্টনের ব্যবস্থা করেছে, যা নজিরবিহীন।