ক্লাসরুমে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ফিলিপাইন। সম্প্রতি দেশটির সিনেটর শেরউইন গাচালিয়ান এই প্রস্তাব রেখেছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মোবাইলের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়া সাইবার বুলিংও হয় বেশি।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। ধারনা করা হচ্ছে, কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলেও থাকবে বলে জানা গেছে।
শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস চলাকালে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে এমন নয়। শিক্ষকদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
তবে, শিক্ষায় প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে স্বীকার করে সিনেটর শেরউইন গাচালিয়ান বলেন, বেশি ব্যবহারের কারণে লেখাপড়াটাই কমে যায়। গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটে এই মোবাইলের কারণে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্লাসরুমে মোবাইল আনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব দেশের যুক্তিও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। তারা বলছে, মোবাইল ব্যবহার আজকাল একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এটি অনেকটা নেশার মতো হয়ে গেছে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ যে টার্মটা তারা ব্যবহার করছে, তা হলো ‘নন–ড্রাগ অ্যাডিকশন’।
ক্লাসরুমে মোবাইল নিষিদ্ধ করা দেশের তালিকায় রয়েছে ইতালি, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সংবাদমাধ্যম দ্য কনভারসেশন বলছে, ক্ষতিকর প্রভাব থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ দিয়েছে দেশগুলো। এসব ক্ষেত্রে মনোবিদদের গবেষণাও আমলে নেওয়া হয়।
এসব দেশ বলছে, একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর ‘নন–ড্রাগ অ্যাডিকশন’ হচ্ছে এই মোবাইল। অর্থাৎ এই মাদক ছাড়াও যেসব নেশা হয়, এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই মোবাইল।