মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আলোচনা তদারকির জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শিগেরু ইশিবার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অর্থমন্ত্রী রিওসেই আকাজাওয়া টাস্কফোর্সির নেতৃত্বে থাকবেন। তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করবেন।
নির্দিষ্ট তারিখ না জানিয়ে আকাজাওয়া বলেছেন, তিনি মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেখা করার আশা করছেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা হবে সেখানে। মুদ্রা নীতিও আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এক সংবাদ সম্মলেনে মন্ত্রী আকাজাওয়া বলেন, আমি বুঝতে পারছি বেসেন্ট জাপানকে খুব ভালোবাসেন এবং নিঃসন্দেহে আমাদের দেশ নিয়ে তাঁর ভালো ধারণা রয়েছে। এতে গভীর আর্থিক পটভূমিও রয়েছে, তাই আলোচনার জন্য তিনি একজন প্রতিপক্ষ হতে পারেন।
তিনি বলেন, বেসেন্ট যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান তার মধ্যে তিনি শুল্ক এবং মুদ্রা নীতির কথা উল্লেখ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই আলোচনার সময় প্রতিক্রিয়া জানাব। জাপান কোনো বিষয় আলোচনার টেবিল থেকে সরিয়ে নেবে না।
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম পদক্ষেপ হবে, কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা নিয়ে একমত হওয়া। এ তথ্য জানিয়ে আকাজাওয়া বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন শুল্ক ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তবে চীন ছাড়া অন্য দেশের জন্য সবশেষ এ সিদ্ধান্ত তিনি ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন, তিনি কয়েক ডজন দেশের ওপর আরোপিত ভারী শুল্ক সাময়িকভাবে কমিয়ে আনবেন এবং চীনের ওপর চাপ আরও বাড়াবেন।
৯০ দিনের স্থগিতাদেশের সময় জাপানের ওপর আরোপিত পারস্পরিক শুল্কও ১০% হারে কমিয়ে আনা হয়েছে। অবশ্য অটোমোবাইল আমদানির জন্য এখনও ২৫% শুল্ক প্রযোজ্য।
রয়টার্স লিখেছে, আকাজাওয়া ৩৭ সদস্যের টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা এর মাধ্যমে শুল্কের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ছাড় চাইবেন।
বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি দেশীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সরকার আগামী সপ্তাহে আকাজাওয়াকে ওয়াশিংটনে পাঠাবে, যাতে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক আলোচনা শুরু করতে পারে।
সরকারি কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনের সাথে টোকিওর আলোচনার কৌশল সম্পর্কে খুব কম তথ্য প্রকাশ করেছেন। আইন প্রণেতারা মার্কিন শুল্কের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক আঘাত কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে চাপ দিতে শুরু করেছেন।
এদিকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, তাকে এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারকে জাপানি মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের সাথে শুল্ক নিয়ে আলোচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।