যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ট্রাম্প ছাড়াও ইলন মাস্ক ও ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। এতে উঠে আসবে পারষ্পারিক বাণিজ্য ও অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের নানা দিক।
প্রতিবেদন বলছে, বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করবেন মোদি এবং কৃষি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সাথে সম্পর্কিত কিছু বাণিজ্য ছাড়ের তালিকা উপস্থাপন করবেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদি বছরের পর বছর ধরে একটা দৃঢ় ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এর প্রতিফলন দেখা যায় তাঁদের হাই-প্রোফাইল বৈঠকগুলোয় এবং যৌথ উপস্থিতিতে।
সিএনবিসি জানিয়েছে, মোদি এবং তাঁর দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার ভারতের ইচ্ছার কথাও জানাবেন। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজির এক-পঞ্চমাংশ কিনে থাকে।
মোদি সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিএনবিসিকে বলেছেন, ভারত আরও মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে প্রস্তুত। ভারত মহাসাগরে সামরিক মহড়ায় ওয়াশিংটনের সাথে অংশীদারত্বের অন্যান্য উপায় খুঁজে বের করার জন্য প্রস্তুত। এ অঞ্চলে চীন এখনও একটি দীর্ঘস্থায়ী হুমকি।
ওয়াশিংটনে থাকাকালীন মোদি ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিওর সাথে সময় কাটাবেন, সেই সঙ্গে বাণিজ্য বিভাগ পরিচালনার জন্য ট্রাম্পের মনোনীত হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথেও সময় কাটাবেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, মোদি মাস্কের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। ধনকুবের মাস্কের সঙ্গে মোদির আলোচনায় এআই নীতি, ভারতে স্টারলিংকের সম্প্রসারণ এবং টেসলার একটি কারখানা খোলার সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনে ২০১৭ সালে মোদি–ট্রাম্পের প্রথম বৈঠকের পর থেকে তাঁদের একাধিক সমাবেশে এক সঙ্গে দেখা গেছে। এই যৌথ উপস্থিতির হাত ধরেই তাঁদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুই নেতার সম্পর্কের রসায়নের নেপথ্যে রয়েছে তাঁদের অভিন্ন বিশ্বদর্শন ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং চীনকে মোকাবিলা করার পারস্পরিক কৌশল। দুই দেশের কাছেই চীন উদ্বেগের কারণ এবং এটা বৃহত্তর মার্কিন-ভারত অংশীদারত্বকে শক্তিশালীও করে তুলেছে।