ভারতের মোহালিতে বাসার সামনে বাইক পার্কিং করা নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে রাস্তায় এক বিজ্ঞানীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ৩৯ বছর বয়সী অভিষেক স্বর্ণকার ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (আইআইএসইআর) প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট ছিলেন। আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, মঙ্গলবার রাতে বাইক পার্কিং নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি। আর তার জেরেই ওই বিজ্ঞানীর মৃত্যু হলো পাঞ্জাবের মোহালিতে। বুধবার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা অভিষেক। মোহালিতে আসার আগে সুইজারল্যান্ডে কর্মরত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি আইআইএসইআরে যোগ দিয়েছিলেন। বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে মোহালির সেক্টর ২৯-এ বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে কাজ থেকে ফেরেন অভিষেক। বাড়ির সামনে বাইক রাখা নিয়ে প্রতিবেশী যুবক মন্টির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। পরিবারের দাবি, তারা এ এলাকায় নতুন আসায় বাইক রাখার নিয়ম জানতেন না অভিষেক। এ কারণে প্রতিদিন তাঁকে হেনস্তা করা হতো। এ নিয়ে এবার তর্কে জড়ান দুজনে।
এ নিয়ে রেগে মন্টিকে মামলা দেওয়ার কথা বলেন অভিষেক। এরপরই মন্টি ধাক্কা মারেন অভিষেককে। ঘুষিও দেন। আর তাতেই রাস্তায় পড়ে যান বিজ্ঞানী অভিষেক। এই পরিস্থিতি দেখে দুই পরিবারের অভিভাবকেরা ছুটে আসেন। অন্য প্রতিবেশীরাও এগিয়ে আসেন। তার পর মন্টিকে টেনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাস্তায় পড়ে অভিষেক আঘাত পান। তাঁকে টেনে তোলা হয়। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অভিষেককে। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গেছে, অভিষেকের কিডনির সমস্যা ছিল। সম্প্রতি তাঁর একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। অভিষেককে নিজের একটি কিডনি দান করেন তাঁর দিদি। অভিষেকের ডায়ালিসিসও চলছিল।
এ ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভিডিওর ভিত্তিতে মন্টিকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।