বিয়েবাড়িতে বরের জুতা লুকিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনা তো সবার জানা। সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে এবার অভিনব কায়দায় দোকানের ক্যাশবাক্স লুটের ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার হিন্দমোটর এলাকার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, কৌশলে দোকানদারের জুতা লুকিয়ে নগদ প্রায় ১০ হাজার রুপি হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
হিন্দমোটর এলাকার একটি রাস্তার পাশে মনোজ মুখোপাধ্যায় নামের এক ব্যবসায়ীর ওষুধের দোকান। গতকাল বুধবার সকালে তাঁর বাবা বিপ্লব মুখোপাধ্যায় দোকান খোলেন। এ সময় ওষুধ কিনতে আসেন এক বয়স্ক ব্যক্তি। ওষুধ কিনে চলে যান তিনি। এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেখেন, কিছুই না কিনে চলে যান। ওষুধ কেনার নাম করে ওই ব্যক্তি দোকানের ক্যাশবাক্স কোথায় আছে দেখে যান। এরপর আরেকজন এসে দোকানের সামনে খুলে রাখা জুতা সরিয়ে ফেলেন।
কিছু সময় পর আরেক ব্যক্তি এসে জানান, কুকুর জুতা নিয়ে গেছে দোকানীর। শুনে বাইরে বেরিয়ে বৃদ্ধ বিপ্লব মুখোপাধ্যায় দেখেন, দোকানের সামনে খুলে রাখা জুতার একপাটি নেই। তখন তিনি দোকান ফাঁকা রেখেই জুতা খুঁজতে চলে যান। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, জুতা সরানো ব্যক্তি দোকানী বৃদ্ধের পেছনে ছুটতে থাকেন। আর এই ফাঁকে দোকানে আসেন ওষুধ কেনা সেই বয়স্ক ব্যক্তি। ফাঁকা দোকানে ঢুকে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
ব্যবসায়ীর দাবি, ক্যাশে ১০ হাজার রুপি ছিল। পুরোটাই নিয়ে গেছে চোর চক্রটি। দোকান মালিক মনোজ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা চক্র এই কাজ করেছে। ওষুধ কেনার উছিলায় ক্যাশবাক্স কোথায় থাকে, সেটা দেখে যায় একজন। আরেকজন এসে জুতো সরায়। আরেকজন এসে বলে, কুকুরে জুতা নিয়ে গেছে। তারপর বাবা দোকান ফাঁকা রেখে জুতা খুঁজতে যেতেই ক্যাশবাক্স সাফ করে ফেলে চক্রটি।’
এই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি স্পষ্ট হয়েছে। জড়িতদের ধরতে বেশি সময় লাগবে না।