ভারতে নতুন সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকরের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই সব মামলার শুনানি হয় আজ বুধবার। এতে সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সরকারকে প্রশ্ন করেন, ‘এখন থেকে কি মুসলিমদেরও হিন্দু সম্পত্তি বোর্ডের সদস্য হতে দেওয়া হবে?’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকরের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন স্থানে চলছে বিক্ষোভ। মুর্শিদাবাদে নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে ৭৩টি পিটিশনের শুনানি হয় আজ।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে মামলাগুলোর শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন।
কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন করেছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিব্বালও। তিনি আজ বলেন, ‘এত দিন শুধু মুসলিমরাই ওয়াকফ বোর্ডে থাকতে পারতেন। এখন হিন্দুরাও পারবেন–এটা মৌলিক অধিকারের দখলদারি। ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনে সীমাবদ্ধতা ছিল না। নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইনে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
তবে ওয়াকফ সংশোধিত আইন নিয়ে আজ অন্তর্বর্তী কোনো স্থগিতাদেশ দেননি সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার আবার শুনানি। আজ আদালত জানায়, কোর্ট যে সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে জানাবে, তাকে ‘ওয়াকফ নয়’ বলা যাবে না। যে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ হবে, তা নিয়ে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চালাতে পারবেন। কিন্তু তা কার্যকর করা যাবে না। ওয়াকফ কাউন্সিল এবং বোর্ডের সদস্যদের মুসলিম হতে হবে। একমাত্র অফিসের সাবেক সদস্যরা অন্য ধর্মের হতে পারবেন।
ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকায় সংঘাত হয়েছে। শুনানি শেষে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায়, ‘যে সহিংসতা হচ্ছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। এ রকম হওয়া উচিত নয়।’