জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার দিন কেন সেখানে সেনা মোতায়েন ছিল না তার ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই হামলা নিয়ে ভারতে একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়। যেখানে বিরোধীরা সরকারের কাছে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রশ্নটি প্রথমে উত্থাপন করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তার পর তা সমর্থন করেন রাজ্যসভার বিরোধী দল নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আম আদমি পার্টির এমপি সঞ্জয় সিং-সহ একাধিক নেতা।
বিরোধী পক্ষ জানতে চায় কেন হামলার স্থানটিতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রশাসনের অজান্তে স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের জন্য রুট খুলে দেওয়াতেই পেহেলগামে হামলার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ভারত সরকার জানায়, প্রতি বছর জুন মাসে অমরনাথ যাত্রা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রুট পর্যটকদের জন্য খোলা হয়। কিন্তু এবার স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলো প্রশাসনকে না জানিয়ে আগেই অর্থাৎ ২০ এপ্রিল থেকেই, পর্যটক বুকিং নিতে শুরু করে। এতে প্রশাসন নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের সুযোগ পায়নি।
এ বৈঠকে সব বিরোধী দলই একমত হয়, যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করা হবে। তবে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপিকে ‘হিন্দু-মুসলিম ইস্যু’ বানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
গত ২২ এপ্রিল বিকেলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার স্থানীয় শাখা দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।
এদিকে, উত্তেজনার মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।