ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারতের কাছে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত একটি ফাইলে অনুমোদনও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এসব সরঞ্জামের মধ্যে উন্নত সি–ভিশন সফটওয়্যার, প্রশিক্ষণ ও সহয়তা পরিষেবা রয়েছে।
ভারতীয় বার্ত সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতের কাছে বিদেশি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিবিষয়ক একটি ফাইলের অনুমোদন দিয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।’
এর আগে গত বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা জানায়, পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতের কাছে বিদেশি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ কংগ্রেসকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা আরও বলেছে, প্রস্তাবিত বিক্রয় যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন করবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং ভারতের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করবে। এতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
এ দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এসব সামরিক সরঞ্জাম ভারতের জন্য তার সমুদ্রসীমায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবিলার জন্য সহায়ক হবে। ভারতের নৌবাহিনীর সচেতনতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং কৌশলগত অবস্থান আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পারবে সি-ভিশন সফটওয়্যার। নিজেদের সামরিক বহরে সি-ভিশন এবং এর আণুষাঙ্গিক উপকরণকে যুক্ত করতে ভারতকে কোনো সমস্যা পোহাতে হবে না এবং এই সফটওয়্যার দক্ষিণ এশিয়ার মৌলিক সামরিক ভারসাম্যের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না।’
গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু নদের পানিচুক্তি স্থগিত করাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেকোনো সময় যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে দুই দেশের মধ্যে। এমন উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে যাচ্ছে ভারত।