ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘প্রত্যেকটি সন্ত্রাসী হামলার দাম চুকাতে হবে পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। এমনকি পাকিস্তানের অর্থনীতিকেও এর মূল্য দিতে হবে। আমি বিকানেরে আসর সময় যে বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেছিলাম, সেখানেও পাকিস্তান হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে পাকিস্তান সেটা ছুঁতেও পরেনি। আর এর খুব কাছেই পাকিস্তানের ঘাঁটি ছিল। তবে এখন সেটা আইসিইউতে পড়ে আছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, রাজস্থানের বিকানেরে আজ বৃহস্পতিবার এক জনসভায় মোদি এসব কথা বলেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পারমাণবিক বোমার এই ভুয়া ভয়ে ভারত আর ভীত হবে না। আতঙ্কের গুরু এবং সন্ত্রাসকে সাহায্য করা সরকারকে আমরা আলাদা আলাদা করে দেখব না। আমরা তাদের একই হিসেবে দেখব। তাদের এই স্টেট, নন-স্টেটের খেলা আর চলবে না। গোটা বিশ্বে তাদের মুখোশ খোলার জন্যে আমরা দল পাঠিয়েছি। আমরা এখন গোটা বিশ্বকে পাকিস্তানের আসল চেহারা দেখাব।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পেহেলগামে সন্ত্রাসীরা যে গুলি চালিয়েছিল, তা ভারতবাসীর বুকে গিয়ে বিঁধেছিল। সারা দেশের মানুষ ঘুমাতে পারেনি। ২২ তারিখের জবাবে আমরা ২২ মিনিটে ওদের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছি। যারা সিঁদুর মুছতে এসেছিল, তাদের মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছি। যারা ভাবত, ভারত চুপ থাকবে, তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছি। নিজেদের অস্ত্র নিয়ে যারা অহংকার করত, তারা এখন ভীত।’
অপারেশন সিঁদুরের পর এটিই মোদির প্রথম জনসভা। তিনি স্মরণ করেন, ২০১৯ সালে আজাদ কাশ্মীরের বালাকোটে ‘ভারতীয় বিমানহানার’ পরেও তার প্রথম জনসভা হয়েছিল রাজস্থান সীমান্তে। এবারও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর তার প্রথম জনসভা আবার এই রাজস্থানেই হলো।