ফিলিস্তিনকে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আয়ারল্যান্ড সরকার। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়। ইউরোপের এই দেশগুলোর নেতারা মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আয়ারল্যান্ড সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ বুধবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে কথা বলবেন।
গত মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আরও অগ্রগতি হওয়ার কথা জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। এ বিষয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকও করেন দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস বলেছিলেন, ‘আয়ারল্যান্ড দ্রুতই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। তবে স্পেনসহ আরও ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ওই সময়ে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইয়ো গার স্টোর বলেন, ‘নরওয়ে তার সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে।’
গত মাসে মাল্টা ও স্লোভেনিয়াও ঘোষণা দেয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য যৌথভাবে কাজ করবে তারা। দেশগুলো বলেছে, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আছে। পরিস্থিতি উপযুক্ত মনে হলেই তারা এ ঘোষণা দেবে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উদ্বাস্তু হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গাজায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্যসংকট। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে অনেক দেশই সোচ্চার হচ্ছে। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলকে নিয়েও সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। ইসরায়েরের ব্যাপারে ইউরোপের অনেক দেশ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।