যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ট্রাম্প জানান, গাজা থেকে কোনো ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নেওয়া হবে না। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় হামাস। বিবৃতিতে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ‘যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য গাজা থেকে জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার ধারণা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত বোঝায়, তবে স্বাগত জানানো হবে।’
এদিকে বুধবার দোহায় মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের কাছে গাজার জন্য মিশরের নেতৃত্বাধীন পুনর্গঠন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে পাঁচ আরব দেশ। সেখানে ট্রাম্পের পরিকল্পনার স্পষ্ট বিরোধিতা করা হয়।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের গাজা ‘দখল’ করে নিজস্বভাবে পরিচালনার একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর ওই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় সৌদি আরব, চীন, রাশিয়া, স্পেনসহ বিশ্বের অনেক দেশ।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা গাজা দখল করব এবং নতুনভাবে গড়ে তুলব। আমরা সেখানে অবিস্ফোরিত বোমা ও অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করব এবং দীর্ঘমেয়াদে এর নিয়ন্ত্রণ নেব।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। গাজার জনগণকে উচ্ছেদ করে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা জোরপূর্বক দখল হিসেবে গণ্য হবে, যা জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।