ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। গতকাল রোববার তারা এ হামলা চালায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই তেল আবিব, আল-কুদস এবং উত্তর পশ্চিম তীরসহ ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষির খবর পাওয়া যায়নি।
হুতিদের হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, হুতি বিদ্রোহীরা অন্তত দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে কি না, তা তদন্দ করে দেখা হচ্ছে।
হুতিরাও এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলেছে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। যার মধ্যে একটি হাইপারসনিক প্যালেস্টাইন ২ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, এটি ইসরায়েলের আশদোদের পূর্ব অংশে সোদেত মিচা ঘাঁটি লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। অন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের ইয়াফা অঞ্চলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এদিকে ইয়েমেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে মার্কিন বাহিনী। গতকাল রোববার ইয়েমেনের সানা প্রদেশে আমেরিকার বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হুতিরা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে চলাচলকারী ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করে। গত জানুয়ারিতে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে এ হামলা থেকে বিরত থাকে হুতিরা।
মার্চ মাসের শুরুতে ইসরায়েল গাজায় সমস্ত সরবরাহ বন্ধ করে দেয় এবং ১৮ মার্চ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পুনরায় আক্রমণ শুরু করে। এর ফলে স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে। তারপর থেকে হুতিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ফের মার্কিন সামরিক জাহাজ এবং ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে।