সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উদ্ধার করতে যাওয়া ইরানের উড়োজাহাজ ইসরায়েল রুখে দিয়েছিল বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল রোববার নেতানিয়াহু এমন কথা বলেন।
বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গতকাল জিউয়িশ নিউজ সিন্ডিকেট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বক্তব্য দেন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি বলেন, লেবাননে ইসরায়েলি অভিযানে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখে সিরিয়ায় আসাদকে বাঁচাতে চেয়েছিল ইরান। তারা আসাদকে উদ্ধারে একটি বা দুটি এয়ারবোর্ন ডিভিশন পাঠিয়েছিল। আমরা সেগুলো রুখে দিয়েছি।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইরানের উড়োজাহাজগুলো দামেস্কের দিকে যাচ্ছিল। আমরা তাদের থামিয়ে দিতে কয়েকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে দেই। পরে ইরানি উড়োজাহাজগুলো ফিরে যায়।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এর বেশি তথ্য দেননি। এদিকে ইরানের দিক থেকেও বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে নেতানিয়াহুর এসব মন্তব্য থেকে সিরিয়া ও বাশার আল আসাদের ব্যাপারে ইসরায়েলের মনোভাব অনুধাবন করা যায়।
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ছিলেন ইসরায়েলের দীর্ঘ দিনের শত্রু। গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। শেষ মুহূর্তে রাশিয়ার পাঠানো উড়োজাহাজে পালিয়ে গিয়ে মস্কোতে আশ্রয় নেন আসাদ। এখনও সেখানেই আছেন তিনি।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদকে নিরাপদে সিরিয়া থেকে সরিয়ে নিতে উড়োজাহাজ পাঠিয়েছিল আরেক ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। পরে সেই উড়োজাহাজে করেই তিনি মস্কোয় পালিয়ে যান।
পরবর্তী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দামেস্ক ছেড়ে বাশার আল-আসাদ প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে যান। সেখান থেকে তাঁকে মস্কোয় উড়িয়ে নেওয়া হয়। আর মস্কোয় আগে থেকেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী আসমা আসাদ ও তাঁদের তিন সন্তান।