ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন করে শুরু সামরিক আক্রমণ বন্ধ না করলে এবং সাহায্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে পদক্ষেপ নেবে কানাডা, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য। ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশগুলো।
যুক্তরাজ্য সরকারের একটি যৌথ বিবৃতির বরাতে আল জাজিরার লাইভে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ওই তিন দেশের নেতারা ইসরায়েলকে সতর্ক করে গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সরকারের বেসামরিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা অস্বীকার করা অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ।
এতে বলা হয়, আমরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি... আমরা লক্ষ্যবস্তু নিষেধাজ্ঞাসহ আরও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।
এদিকে, সোমবার গাজাজুড়ে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২ জনে। আহতের সংখ্যাও বেড়েছে।
এ অবস্থার মধ্যে ১১ সপ্তাহ অবরোধ করে রাখার পর গাজায় সীমিত পরিসরে সোমবার খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় ‘যাতে দুর্ভিক্ষ দেখা না দেয়’, তা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এরআগে রোববার গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ওপরও জোর দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ভ্যাটিকান সিটিতে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগের সাথে সাক্ষাতের সময় তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বে হামলা হয়। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়। গাজায় প্রায় ৫৮ জন জিম্মি রয়ে গেছে, যাদের মধ্যে ২৩ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলে হামলার দিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।