ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নতুন কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তাঁর নাম ঘোষণা করেন।
ইরানের সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আজ শুক্রবার ভোরে আইআরজিসি কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হন। এরপর মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুরকে আইআরজিসির নতুন কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
আজ ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ তেহরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সদর দপ্তরও ছিল। এ সময় আইআরজিসির সদর দপ্তরে ছিলেন হোসেইন সালামি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর ওই হামলায় ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসাইন সালামি, খাতাম-আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার গোলাম আলী রাশিদ ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হন। এ ছাড়া ছয় বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়। তাঁরা হলেন, আব্দুল্লাহ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জলফাঘারি, সায়েদ আমির হোসেন ফাকহি, মোতলাবিজাদেহ, ফেরেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজ ভোরে ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ নাম দিয়ে তেহরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিতেই তারা এই হামলা চালিয়েছে।
এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় পরে ইসরায়েলে ১০০টি ড্রোন ছুড়েছে ইরান। সার্বিক পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
হামলা অব্যাহত রাখারা ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, হামলা যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই চালানো হবে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কঠোর বার্তা দিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ‘তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক’ পরিণতির জন্য ইসরায়েলকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। আর হামলার পেছেন আমেরিকার কোনো হাত নেই দাবি করে ইসরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ইরান যদি প্রতিশোধ নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।’