ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৭০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩২০ জন আহত হয়েছেন। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফারস এই ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক পরিসংখ্যান’ প্রকাশ করেছে। ফারস ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস পরিচালনা করে তাকে এবং এটি ইরান সরকারের আধা–সরকারি গণমাধ্যম হিসেবে পরিচিত।
ফারসের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ তেহরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সদর দপ্তরও ছিল।
ওই হামলার পর ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, হামলায় ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসাইন সালামি, খাতাম-আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার গোলাম আলী রাশিদ ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ছয় বিজ্ঞানীনিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন, আব্দুল্লাহ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জলফাঘারি, সায়েদ আমির হোসেন ফাকহি, মোতলাবিজাদেহ, ফেরেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি।
এরপর বিকেলে ইরান সরকারের আধা–সরকারি গণমাধ্যম ফারস জানাল, নিহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি। এ ছাড় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজ ভোরে ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ নাম দিয়ে তেহরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিতেই তারা এই হামলা চালিয়েছে।
এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় পরে ইসরায়েলে ১০০টি ড্রোন ছুড়েছে ইরান। সার্বিক পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
হামলা অব্যাহত রাখারা ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, হামলা যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই চালানো হবে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কঠোর বার্তা দিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ‘তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক’ পরিণতির জন্য ইসরায়েলকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। আর হামলার পেছেন আমেরিকার কোনো হাত নেই দাবি করে ইসরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ইরান যদি প্রতিশোধ নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।’