ইসরায়েল–ইরান সংঘাতের মধ্যে এবার গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ সকালে ইসরায়েলের খোলা জায়গায় দুটি রকেট পড়ে থাকতে দেখে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপর সেনাবাহিনী জানায়, রাতভর ইরান ও ইসরায়েলের পর গাজা থেকে এই রকেট হামলা চালোনো হয়েছে।
এ দিকে ইসরায়েলে ইরানের পল্টা হামলার প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল রিশেক বলেছেন, ‘আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিনা শাস্তিতে যে পার পাওয়া যায় না, তা ইরান প্রমাণ করে দিয়েছে।’
আজ শনিবার সকালে রিশেক আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে শক্ত জবাব দেয়ার মধ্য দিয়ে ইরান প্রমাণ করেছে, কোনো ঔদ্ধত্যই বিনা জবাবে পার পায় না, কোনো আগ্রাসনই শাস্তি ছাড়া পার পায় না।’
হামাসের এই অন্যতম নেতা বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যত উচ্চ ধারণাই থাকুক না কেন, ডজন ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ঠিকই ভূখণ্ডটির ভেতরে ঢুকে সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে। ইসরায়েলকে জবাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে ইরান একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। আর তা হলো, যে–ই হামলা করুক, তাকে মূল্য চুকাতে হবে।’
গতকাল শুক্রবার ভোররাতে ইরানে বড় আকারে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে আজ শনিবার ভোররাতে (গতকাল দিবাগত রাত) পাল্টা হামলা চালায় ইরান। দুই দেশই রাতে একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইরানের জ্যেষ্ঠ এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা হামলা এখনই থামছে না।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীও ইরানে হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। টেলিগ্রামে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ইরানে ইসরায়েলের জন্য হুমকিস্বরূপ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে দেশটির বিমান বাহিনী।